বাংলা হান্ট ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ায় বর্তমানে দু’টি যুদ্ধক্ষেত্র রয়েছে। যা সমগ্র অঞ্চলের শান্তির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, ওই বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বড় ধরণের সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে। প্রথম সংঘাতটি চলছে হামাস (Hamas) ও ইজরায়েলের (Israel) মধ্যে এবং দ্বিতীয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলা সংঘর্ষ। এই দুই দেশ ইতিমধ্যেই একে অপরের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। পাশাপাশি, দু’জনেই একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের থামাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে। উল্লেখ্য যে, সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-আল-আদলকে থামাতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ইরান চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পাকিস্তানে হামলা চালায়।
ইরান জানিয়েছে, পাকিস্তানের মাটি থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে, ইরানের এই হামলার জবাবে পাকিস্তানি সেনারাও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। পাশাপাশি, পাকিস্তান জানিয়েছেন যে, তারা বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের সন্ত্রাসবাদীদের হত্যা করেছে। এদিকে, ইরান এই সময়ে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। কারণ, আমেরিকা ও ইজরায়েল ইতিমধ্যেই ইরানের ওপর ক্ষুব্ধ। উভয় দেশই হামাস, হিজবুল্লাহ এবং হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থনে অসন্তুষ্ট রয়েছে।
কি প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা ভারতসহ একাধিক দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই বিদ্রোহীরা ইরানের সমর্থন পায়। সাম্প্রতিক সময়েও হুথি বিদ্রোহীদের দ্বারা জাহাজে হামলা হয়েছে। এমতাবস্থায়, আমেরিকা ও ব্রিটেন একসঙ্গে হুথিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং তা তীব্র হলে ইরানের সঙ্গেও সংঘর্ষ শুরু হতে পারে। যদিও, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সফরের সময়ে ইরান জানিয়েছিল যে, হুথিদের ওপর তাদের খুব কম নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: “ভারতকে সম্মান না করলে ক্ষতি হবে আমাদেরই” মইজ্জুকে ধুয়ে দিলেন মলদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি
ভারতের ওপর কি প্রভাব পড়বে: ইরানের হামলার পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে রয়েছে। ভারতের কথা বললে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আমরা সেই অ্যাকশনকে বুঝতে পারি যেটি আত্মরক্ষায় গ্রহণ করে।” তবে হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ইরানের হামলার আসল কারণ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে। তখন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারত সফরে আসবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবথেকে শক্তিশালী এই দেশের মুদ্রা! কত নম্বরে রয়েছে ভারতীয় টাকা? রইল গোটা তালিকা
তবে, ইরানের এই হামলা আবারও ভারতের সেই অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল। শুধু তাই নয়, এই হামলার মাধ্যমে বিশ্ব জানতে পেরেছে যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের লালন-পালন করছে এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলি এতে বিপর্যস্ত। এটি সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সহায়তার সাথে জড়িত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।