বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (china) থেকে আগত করোনাভাইরাস(corona virus) সারা দুনিয়াকে তোলপাড় করে দিয়েছে। এই ভাইরাসের জেরে মারা গেছে অনেকে। আর আক্রান্তও অনেকে। করোনা সংক্রমন রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra modi) যে লকডাউনের ডাক দিয়েছেন তা আগামী ১৪ ই এপ্রিল শেষ হতে চলেছে। তবে এখন প্রশ্ন যেখানে এরকমভাবে করোনার প্রকোপ দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী সেখানে কী এই লকডাউন উঠিয়ে দেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। এখন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে চার হাজারেরও বেশি এবং সোমবার পর্যন্ত এই মরণ ভাইরাসে জেরে প্রাণ হারিয়েছে ১৩৬ জন।
তাই এখন প্রশ্ন উঠছে লকডাউন এর সময়সীমা কী বাড়ানো হবে কেন্দ্রের তরফ থেকে তবে আপাতত এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রে তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী যা জানতে পারা যাচ্ছে সেখানে জানা যাচ্ছে এবার লকডাউন এর সময়সীমা নাও বাড়ানো হতে পারে বরং করোনা সংক্রমণে হার যে জেলাগুলিতে বেশি রয়েছে সেখানে সীমাবদ্ধ রাখা হবে এই লকডাউন। খবর অনুযায়ী জানতে পারা গেছে দেশের প্রায় ৭৩৬ টি জেলার মধ্যে করোনো পজিটিভ কেসের সন্ধান মিলেছে ২৭৪ টি জেলাতে।
আবার যাদের মধ্যে ৬২ টি জেলায় এই ভাইরাসের সংক্রমনের গতি অতিমাত্রায় ছড়িয়েছে। এই জেলাগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৮০ শতাংশের ও বেশি। তাই প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানতে পারা যাচ্ছে লকডাউন উঠানো হলেও পরবর্তী সময়ে এই ৬২ টি জেলাতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এই জেলাগুলির সীমানা সিল করে দিয়েছে শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবা চালু রাখা হবে বলে জানতে পারা যাচ্ছে।তবে এর পাশাপাশি এই খবরও বেরিয়ে আসছে যেখানে শোনা যাচ্ছে গোটা দেশে একসাথে লকডাউন তুলে দেওয়া হবে না, বরং ধাপে ধাপে তোলা হবে এই বিষয়ে চিন্তা- ভাবনা চলছে এমন টাই প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে।
গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশে করোনা পজেটিভ এর নতুন কেস বেড়েছে প্রায় হাজার। যেখানে দেশে এক সপ্তাহ আগে এই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৫১ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল যেখানে ৩২ জন সেখানে মাত্র ৭ দিনেই এই সংখ্যা বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০০০ এর বেশি এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ জনেরও বেশি।তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমনটাই জানতে পারা যাচ্ছে। তবে লকডাউন উঠানোর পর ট্রেন পরিষেবা চালু নিয়ে আলাদা করে চিন্তা-ভাবনা করা হবে বলে প্রাপ্ত খবরে জানতে পারা যাচ্ছে।
দেশের কয়েকটি ভৌগোলিক সীমানাতে আটকে রয়েছে এই সংক্রমণ গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তা জানতে পারা গেছে। রাজস্থানে ভিলওয়ারা জেলার করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অতি আক্রমণাত্মক উপায় নেওয়া হয়েছিল যেখানে গোটা জেলা সিল করে দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে।এমনকি সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের লকডাউন মানতে বাধ্য করেছিল পুলিশ। তাই মনে করা হচ্ছে এবার এই ৬২ জেলাতে এরকম এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি যেহেতু রোগটি বায়ুবাহিত নয় তাই আক্রান্তের পরিবারের সকলে বা হাসপাতালে সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন না এই রোগে। এই রোগ মানুষের দেহ থেকে অন্য মানুষের দেহে ছড়াচ্ছে। তাই লকডাউনে কড়া মনোভাব মিললে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এই ভাইরাসকে। অপরদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর এ তরফ থেকে জানানো হয়েছে এবার থেকে বাড়ানো হয়েছে করোনা পরীক্ষার হার দেশে তাই ধীরে ধীরে লকডাউন উঠিয়ে দেশের অন্যান্য পয়েন্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হতে পারে আগামী ১৪ই এপ্রিলের পর।