বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুপ্রিম রায়ে সদ্য চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা। এর মাঝেই আচমকা নতুন খবরে মাথায় হাত পড়ার জোগাড় সকলের। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik and HS Exam) সমস্ত খাতা বাতিল করা হচ্ছে। আবারও পরীক্ষা নেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের। এমনি দাও করে সম্প্রতি একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা ঘিরে শুরু হয়েছে শোরগোল। কিন্তু সত্যিই কি এমন কিছু ঘটেছে বা ঘটতে চলেছে?
নতুন করে হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik and HS Exam)?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের খবরের ধাঁচে ছবিতে লেখা রয়েছে, ‘২০২৫ মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik and HS Exam) খাতা বাতিল, নতুন করে পরীক্ষা করাতে হবে সব ছাত্রছাত্রীর, জানিয়ে দিল শিক্ষক সংগঠন’। কিন্তু শিক্ষক সংগঠনের তরফে এমন কোনো ঘোষণা আদৌ করাই হয়নি। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের তরফেও প্রকাশ করা হয়নি এমন কোনো প্রতিবেদন। ফলত ভাইরাল হওয়া ছবিটি যে পুরোপুরি মিথ্যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এমন গুজব ছড়ানোর ভিত্তিটাই বা কী? উল্লেখ্য, এক্ষেত্রেও রয়েছে এসএসসি যোগ।
খাতা দেখার জন্য শিক্ষক মিলবে: আসলে সম্প্রতি ২০১৬ স্কুল সার্ভিস কমিশন মামলায় চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা। তাদের মধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক (Madhyamik and HS Exam) স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকারাও রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি খুইয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন। এমতাবস্থায় যে বড় প্রশ্নচিহ্নটি দাঁড়াচ্ছে তা হল, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের (Madhyamik and HS Exam) খাতা দেখার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা কি পাওয়া যাবে? এই দোলাচলের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করতেই এমন ভুয়ো খবর রটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
আরো পড়ুন : ফিরল ৮৭-র স্মৃতি, এক ধাক্কায় ৫ শতাংশ পতন ভারতের বাজারে, উধাও ২০ লক্ষ কোটি!
কী জানিয়েছে সংসদ: উল্লেখ্য, এসএসসি রায় নিয়ে দুটি পরীক্ষার উত্তরপত্রের উপরে সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে। তবে মঙ্গলবার সংসদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চাকরিহারা শিক্ষকরা চাইলে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারেন। আবার কেউ যদি তা না করতে চান সেক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র নিয়ে দেওয়া হবে অন্য শিক্ষকদের।
আরো পড়ুন : জুতো ফিরে পেতে দাবি ৫০ হাজার, বিয়ে করতে গিয়ে কনেপক্ষের লাঠির বাড়ি খেল বর!
সূত্রের খবর বলছে, মেদিনীপুর এবং উত্তরবঙ্গ ডিভিশনের ক্ষেত্রে নাকি সিংহভাগ উত্তরপত্র (Madhyamik and HS Exam) মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কলকাতা এবং বর্ধমান ডিভিশনে এখনো নাকি তা হয়নি। এবার চাকরি হারানোর পর শিক্ষকরা যদি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে রাজি না হন তাহলে অন্যদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।