বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আজ আইপিএল ফাইনালে (IPL Final) মুখোমুখি হয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল চেন্নাই সুপার কিংস এবং সাম্প্রতিক অতীতে আইপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল গুজরাট টাইটান্স। রবিবার এই ফাইনালটি আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন মারাত্মক দৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ভেস্তে যায়। তাই, আজ ২৯ শে মে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার দল একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে।
কিন্তু বৃষ্টির জন্য যে ভয়টা দর্শকরা পাচ্ছিলেন সেই ভয়টাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়ে দাঁড়ালো দ্বিতীয় ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে হালকা বৃষ্টি হলেও ম্যাচ বন্ধ করার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু শামির করা ইনিংসের তৃতীয় বলে রুতুরাজ গায়কোয়াড একটি দুর্দান্ত শটে বাউন্ডারি কুড়োতেই বৃষ্টি এমন বড় আকারে আসে যে মাঠ ছাড়তে হয় সকলকে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই বৃষ্টি বিশাল মারাত্মক নয়। ওভার যদিও বা কমে, খেলা বাতিল হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে জানা গিয়েছে বৃষ্টির জন্য শেষ পর্যন্ত ম্যাচ যদি কমে ৫ ওভারের হয় তবে ডিএলএস নিয়ম অনুযায়ী বিনা উইকেট খুইয়ে ৪৩ রান তুললেই জয় পেয়ে যাবে সিএসকে।
আজ বড় মঞ্চে শুভমান গিলকে (৩৯) ভুলিয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে (৫৪) ফিকে করে ফাইনালে প্রথম ইনিংসে যাবতীয় নজর নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলেন সাই সুদর্শন। চলতে আইপিএলে তিনি যখন যখন সুযোগ পেয়েছেন ব্যাট হাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইনিংস খেলেছেন। আজ শুরুতে ধীর গতিতে ব্যাটিং করে ঋদ্ধিমান সাহার ওপর কিছুটা চাপ বাড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঋদ্ধি আউট হওয়ার তাকে আটকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন ধোনি।
ধীর গতিতে শুরু করে মাত্র ৩৩ বলে নিজের ফিফটি সম্পূর্ণ করেছিলেন সুদর্শন। এরপর আর কোনও বোলারকেই তিনি সমীহ করেননি? যে পাথরিনাকে আপনি শুধুমাত্র ডেথ বোলিংয়ের জন্য ব্যবহার করেন সেই শ্রীলঙ্কান তরুণকে হাতের জোরে একাধিকবার গ্যালারিতে পাঠালেন তিনি। ৪০ বলে ৮ টি চার এবং ৬ টি ছক্কা সহ করলেন ৯৬ রান।
প্রথমদিকে জাদেজা, চাহার ও থিকসেনাকে ব্যবহার করে নিয়েছিলেন ধোনি। ফলে হার্দিক এবং সুদর্শন যখন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন তখন বোলিং পরিবর্তনে কোনও বৈচিত্র্য আনতে পারলেন না। আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করল গুজরাট টাইটান্স। হার্দিকের ২১ রানের ক্যামিওতে ভর করে সিএসকের সামনে জয়ের জন্য ২১৫ রানের লক্ষ্য রেখেছে গুজরাট। এটি আইপিএল ফাইনালের সর্বোচ্চ টার্গেট। এর আগে এত বড় রান তাড়া করে কোনও দল আইপিএল জেতেনি।