বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই ফের যেন একবার দাবার ছকের চাল বদলেছে। নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন যারা, তাদের অনেকেই ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন সোনালী গুহ, সরলা মুর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাস থেকে শুরু করে আরো অনেকেই। জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল বিজেপির অন্যতম পুরনো মুখ সৌমিত্র খাঁকে কেন্দ্র করেও। মূলত তৃণমূল থেকেই বিজেপিতে এসেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে জিতে দলের সাংসদও হন তিনি। কিন্তু কিছুদিন আগেই জল্পনা শুরু হয় সৌমিত্র খাঁকে কেন্দ্র করে। তিনিও কি দলবদল করাই মনস্থ করেছেন।
জল্পনা সূচনা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। কয়েকদিন আগেই বিজেপির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি এই দলবদলের হাওয়ায় একবার রং বদলাবেন সৌমিত্র। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তেমনভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি সৌমিত্র খাঁকে। এর আগে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তার স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁও। যদিও তার পরেই তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ দেন সৌমিত্র। কিন্তু তার এই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাবার পর জল্পনা তুঙ্গে ওঠে।
যদিও সমস্ত জল্পনা হাওয়ায় উড়িয়ে সৌমিত্র জানিয়েছেন, “বিজেপি ছাড়ার কোন প্রশ্নই নেই। অনেক গ্রুপ তৈরি হয় প্রতিদিন। তারই একটি মিডিয়া গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেছি। এর সঙ্গে দল ছাড়ার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিজেপি দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা। বিষ্ণুপুর বর্তমানে অনেক শান্তিতে রয়েছে।” নির্বাচনের আগে যথেষ্ট হাওয়া ছিল গেরুয়া শিবিরে। সেই সূত্র ধরে প্রবীর ঘোষাল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দল ভেঙে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন একাধিক তাবড় তাবড় নেতা। তাদের অনেকেই এখন যাই যাই করছেন। এ প্রসঙ্গে এদিন কষ্ট নিজের মতামত দেন সৌমিত্র। তিনি জানান, “অনেকেই যাই যাই করছেন। যারা ভোটের আগে দলে এসেছেন তাদের কথা আলাদা। যারা আড়াই বছর ধরে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করেছে তাদের কথাটা আলাদা। এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।”
দলবদলু প্রসঙ্গে তার এই মন্তব্য কতটা কার্যকরী তার উত্তর হয়তো দেবে আগামী দিন, কিন্তু সৌমিত্রর স্পষ্ট বার্তায় আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে বিজেপি।