বাংলা হান্ট ডেস্ক: মীন সংক্রান্তি মানে হল মীন রাশিতে সূর্যের আগমন। গত ১৪ মার্চ মধ্যরাত্রিতে অর্থাৎ ১২ টা ১৫ মিনিটে এটি সম্পন্ন হয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই সংক্রান্তি সোমবার শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথির অশ্লেষা নক্ষত্রের “অতিগন্ড” নামের একটি যোগের সময় ঘটেছিল।
ভবিষ্যফল ভাস্করের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ফাল্গুন মাসে মীন সংক্রান্তি সোমবারে পড়লে তা মনুষ্যজাতির পক্ষে অত্যন্ত সুখকর হয়। পাশাপাশি, এই যোগের কারণে বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা ভয়াবহ যুদ্ধও সমাপ্ত হতে পারে। কিন্তু, সংক্রান্তির সময়ে শনি, মঙ্গল এবং শুক্রের সংযোগ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সূচক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
এছাড়াও, সংক্রান্তি কুণ্ডলীর তৃতীয় ঘরে শনি, মঙ্গল এবং শুক্রের সংযোগ সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশ চিনের দিক থেকেও সতর্ক থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, সূর্য সংক্রান্তির সময়ে বৃশ্চিক লগ্নের উদয় ঘটেছে যেখানে কেতুও বিরাজমান রয়েছে। পাশাপাশি বুধ চতুর্থ ঘরে বসে এবং বৃহস্পতি তার সপ্তম দৃষ্টি থেকে “রাজসত্তা” স্থান অর্থাৎ দশম ঘরে দৃষ্টি দিয়ে জনসাধারণকে মুদ্রাস্ফীতির হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সরকারকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট করছে বলে মনে করছেন জ্যোতিষ শচীন মালহোত্রা।
এছাড়াও, দেশে পেট্রোল এবং ডিজেলের পণ্যে জিএসটি আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। সংক্রান্তির কুন্ডলীতে চতুর্থ ঘরে বসে থাকা শুভ গ্রহ কৃষকদের রবি শস্য থেকে লাভের মুখ দেখাতে পারে। কিন্তু, চলতি বছর গম এবং সর্ষের রেকর্ড ফলন হলেও কৃষকদের নিরাশার সম্ভাবনা থাকছে।
এদিকে, সূর্যের মীন রাশিতে প্রবেশের কুণ্ডলীতে একাধিক গ্রহের উপস্থিতির কারণে কেন্দ্রীয় সরকার খুব সামান্য প্রতিরোধের সাথে কিছু বড় অর্থনৈতিক সংস্কার কয়েক দিনের মধ্যেই লাগু করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কিং, বীমা, কয়লা, ইস্পাত পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলি। যার ফলে সরকারি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের স্থবির প্রক্রিয়াকে ফের গতিশীল করা সম্ভবপর হতে পারে। এছাড়াও, বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করে কিছু শ্রমিক সংগঠন সরকারের বিরোধিতা করতে পারে। নবম ঘর অর্থাৎ সংক্রান্তি কুন্ডলীতে আদালতের স্থানে কর্কট রাশিতে স্থিত চন্দ্রে সূর্য, মঙ্গল এবং শুক্রের দৃষ্টি থাকায় আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
একনজরে দেখে নিন মীন সংক্রান্তির প্রভাবে ঠিক কোন কোন জিনিসে প্রভাব পড়তে পারে:
* নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে।
* অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়িত হবে।
* বেসরকারিকরণ এবং বিনিয়োগের গতি আসবে।
* শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ বাড়তে পারে।
* রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে।
* রবি ফসল চাষে লাভ আসবে।
* পেট্রোল এবং ডিজেলে জিএসটি লাগু হতে পারে।