বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতে এবার ব্যবসা বন্ধ করবে WhatsApp? সাম্প্রতিক সময়ে আসা আপডেটের ওপর ভর করে এখন এই বিষয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এর কারণ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনকে সামনে আনা হচ্ছে। মূলত, নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০-এ একটি বিধান রয়েছে যে সরকার যদি চায়, সেক্ষেত্রে WhatsApp-কে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এর ভিত্তিতে, দাবি করা হচ্ছে যে সরকার যদি WhatsApp-কে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে WhatsApp ভারত ছেড়ে যেতে পারে। কারণ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পরিবর্তন এনে এটি করা বাধ্যতামূলক করেছে। মানে WhatsApp এক্ষেত্রে সরকারকে মানা করতে পারবেনা।
WhatsApp-এর প্রসঙ্গে সামনে এল বড় আপডেট:
সরকার দিয়েছে জবাব: আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, WhatsApp এবং এর মূল সংস্থা Meta ভারতে তাদের পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি। সংসদে লিখিতভাবে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী। অশ্বিনী বৈষ্ণবের এই উত্তরটি কংগ্রেস সাংসদ বিবেক টাঙ্কখার প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে। যেখানে টাঙ্কখা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৯A-র অধীনে WhatsApp থেকে ব্যবহারকারীর বিবরণ নেওয়া এবং ভারতে এটি বন্ধ করার বিষয়ে একটি প্রশ্ন করেছিলেন।
সরকার ও WhatsApp-এর মধ্যে কি চলছে বিরোধ: এদিকে, সরকার নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছে যে, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। তাদের এমন কোনও ইচ্ছাও নেই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জাতির ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনও আপস করতে চায় না। উল্লেখ্য যে, সরকার ও WhatsApp-এর মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। এই বছরের শুরুতে, WhatsApp দিল্লি আদালতকে বলেছিল যে, সরকার যদি এনক্রিপশন-বেসড মেসেজগুলি ভাঙতে চাপ দেয় তাহলে তারা ভারতে কাজ করা বন্ধ করবে।
আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে: এর আগে, সরকারের সদ্য সংশোধিত তথ্যপ্রযুক্তি আইনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল WhatsApp। সংস্থাটি জানিয়েছিল যে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নতুন নিয়ম ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার সাথে আপস করে। যা অসাংবিধানিক। WhatsApp দিল্লি হাইকোর্টকে বলেছে যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করে। যেখানে মেসেজ পাঠানো ও মেসেজ গ্রহণকারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ মেসেজ পড়তে পারবে না।
আদালতে পৌঁছেছিল মামলা: WhatsApp-এর পক্ষে তেজস কারিয়া আদালতে হাজির হয়ে যুক্তি দিয়েছিলেন, WhatsApp যদি এনক্রিপশন ভেঙে দেয়, সেক্ষেত্রে WhatsApp-এর অস্তিত্ব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ ব্যবহারকারীরা গোপনীয়তার ফিচার্সের কারণে WhatsApp ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: ট্রেনিংয়ের জন্য সরকার খরচ করেছে ২ কোটি টাকা! চমকে দেবে ২২ বছরের মনু ভাকেরের মোট সম্পদের পরিমাণ
WhatsApp-এর সবথেকে বড় বাজার হল ভারত: পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত WhatsApp-এর সবথেকে বড় বাজার হিসেবে বিবেচিত হয়। এদিকে, পড়শি দেশ চিনে ইতিমধ্যেই WhatsApp ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ইউক্রেনের সমর্থনের কারণে রাশিয়াতেও WhatsApp ব্যবহার নিষিদ্ধ। আমরা যদি ভারতের কথা বলি, সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে WhatsApp-এর মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ মিলিয়ন।