বাংলাহান্ট ডেস্ক : বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) মেটানোর দাবি নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা গত ১০ ই মার্চ ধর্মঘটে অংশ নেন। এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশও। এরপর ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এরই সাথে উপাচার্য বরখাস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) এরপর মামলা করে দাবি করা হয় বেআইনিভাবে সরানো হয়েছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে। গত ১০ ই মার্চ ধর্মঘট ডাকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। সেই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বহু শিক্ষক- শিক্ষা কর্মীরা। ধর্মঘটে অংশ নেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ কর্মচারীরা।
অভিযোগ অনুপস্থিতি সত্ত্বেও উপস্থিত দেখিয়ে শিক্ষকদের সম্পূর্ণ বেতন দিয়েছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী তাকে বরখাস্ত করেন। অন্যদিকে, উপাচার্য ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের বেতন কাটার নির্দেশ দেন। এই পরিস্থিতিতে ২২ জন অধ্যাপক পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কমিটি থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে এরপর রীতিমতো অচলাবস্থা দেখা দেয়। অধ্যাপকদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের নির্দেশিকা বাতিল করতে হবে। এরপর চন্দন বাবু উপাচার্যের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। সেই মামলায় তিনি আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন।
বুধবার তার আইনজীবী দাবি করেন, চাকরি থেকে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা থাকে শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের হাতেই। অপরপক্ষে উপাচার্যের আইনজীবী যুক্তি দিয়ে বলেন, প্রোবেশন পিরিয়ডে আছেন রেজিস্ট্রার। তাই তাকে অপসারণ করার নির্দেশিকা বৈধ। এরপর বিচারপতি নির্দেশ দেন আপাতত বরখাস্ত করা যাবে না রেজিস্ট্রারকে।