বাংলা হান্ট ডেস্ক :উফ ডিসেম্বরের ১,২ তারিখ যেতে না যেতেই বঙ্গবাসীর মনে ফূর্তির শেষ নেই। উফ, এবার এল ঠান্ডা। কি মজা। সয়েটার চাদর গুলোও যেন একটু গা হাত পা ছাড়িয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু মাত্র তিনদিন যেতে না যেতেই আবারও আগের মতো, তাপমাত্রার পারদ চড়ে। ঠান্ডা অধরা। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণেথমকে গিয়েছিল শীত। একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে আজ ১২ ডিসেম্বর হলেও তাপমাত্রার পারদ নামের যে খুব একটা হেরফের হয়েছে এমনটা নয়।
শুক্রবার সকালে শহরতলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবাকিরে থেকেই ৩ ডিগ্রি বেশি। যদিও বৃহস্পতিবার একটু উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করেছিল কিন্তু রাত গড়াতে না গড়াতেই অমনি শুরু ভয়াবহ গরমের।
একইসঙ্গে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ও পাল্লা দিয়ে ঘূর্ণাবর্ত। আর তার জেরে বঙ্গে শীতে বাধা আসছে প্রবল। যদিও উত্তর ভারত থেকে ঘূর্ণাবর্ত সড়ে যাওয়ায় বেশ ভালো ঠান্ডা পড়ছে। তাই হিমাচল প্রদেশ সহ উত্তরাখণ্ড এখন শীতের কবলে পড়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জন্য শীত আটকে থাকেও বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনও অবধি নেই।
কিন্তু দিল্লী, হরিয়ানা, চন্ডীগড় ও পাঞ্জাবে কিন্তু বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের সম্ভাবনা জারি হয়েছে। তবে আগামী এক দুদিনের মধ্যে সেই ঝঞ্ঝা উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে সরে যাবে। আর তাই উত্তরের দিকে কিন্তু বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান এতটাই বেশি যে শীতেও অস্বস্তি অব্যহাত। জানা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার কারনে শীতের দেখা মিলছে না।
তাই শীত প্রেমীদের খানিকটা হলেও মন খারাপ শুরু হয়ে গেছে। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে কিন্তু পারদ নামার যে খুব একটা সম্ভাবনা নেও তাও প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সড়ে গেলে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বঙ্গে।কিন্তু ডিসেম্বরের শেষে দিকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে, তবে শীতের স্থায়িত্ব যে বেশি দিন থাকবে না তা একপ্রকার নিশ্চিত। যেহেতু পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বার বার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাতেই মন খারাপ শুরু হয়েছে বঙ্গবাসীর।