বাংলাহান্ট ডেস্ক : দণ্ডি কেটে একাধিক আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি থেকে ফিরেছিলেন তৃণমূলে। বিষয়টি নিয়ে এখনো চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এরই মাঝে আদিবাসী (Tribal) সেঙ্গেল অভিযান রাজ্য জুড়ে ডাক দিয়েছে ১২ ঘন্টা বনধের। বনধ সফল করার জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা সকাল থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জেলায় রাস্তায় নেমেছেন হাতে তীর ধনুক নিয়ে।
অভিযোগ তারা বাধা সৃষ্টি করছেন যান চলাচলে। এছাড়াও বাধা দেওয়া হচ্ছে দোকানপাট খুলতে।সোমবার সকাল থেকেই বনধের প্রভাব পড়ে বালুরঘাট সহ বিস্তীর্ণ দিনাজপুর এলাকায় জুড়ে। ভোরবেলা বেশ কিছু বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস বেরোলেও পরবর্তীকালে বদলে যায় ছবি। আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা রাস্তা অবরোধ করেন বালুরঘাটের মঙ্গলপুর এলাকায়।
গোটা শহর জুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। সেঙ্গেল অভিযানের সমর্থকরা জানিয়েছেন অন্যান্য দিনের থেকে দোকানপাট কম খুলেছে। ধর্মঘটকারীরা জানিয়েছেন, দন্ডিকাণ্ডে গ্রেফতার করতে হবে তৃণমূলের প্রাক্তন মহিলা জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। বনধের প্রভাব পড়েছে পুরুলিয়া জেলাতেও। আড়শা এলাকার কান্টাডি, সাতুড়ি, আহারার মোড় ও কাশীপুরে সড়ক অবরোধ করেন সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা।
অন্যদিকে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করছেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) চোপড়ার কালাগছ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়। তারা রাস্তায় নেমেছেন তাদের ঐতিহ্যের তীর ও ধনুক নিয়ে। মালদার হবিবপুর, আলমপুর, আট মাইলের রাস্তাও অবরুদ্ধ।