বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিনকে চাপে রাখার জন্য আমেরিকার প্রয়োজন ভারতকে (India-America)। তাই ‘কোয়াড’ বা চতুর্দেশীয় অক্ষের সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লিকে আমেরিকার (India-America) নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ‘স্কোয়াড’-এ যুক্ত করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই সামরিক জোটে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপিন্স।
চিনকে চাপে রাখতে ভারতকে দরকার আমেরিকার (India-America)
এবার এই সামরিক জোটে আমন্ত্রণ জানানোর কথা রয়েছে ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে। বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম তেমনটাই দাবি করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নয়া দিল্লির কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছেছে ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের তরফে। একটি সরকারি সূত্র থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : মিলেছে জামিন! ফের হাই কোর্টের দ্বারস্থ ‘কালীঘাটের কাকু’, কী বলতে চাইছেন?
নয়াদিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে এসে সে বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিলিপিন্স সেনাপ্রধান জেনারেল রোমিও এস ব্রাউনার। গতবছর হাওয়াইয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পেন্টাগন ‘স্কোয়াড’ গঠন করেছে। নেপথ্যের কারণ, দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের দাপট প্রতিরোধ করা এবং তাইওয়ানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। দক্ষিণ চিন সাগর কার দখলে থাকবে সেই নিয়ে বহুদিন ধরে, চিনের সঙ্গে বিরোধ চলছে ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলির।
আরও পড়ুন : ছোটপর্দার ‘সূর্য’ থেকে সৃজিতের ‘শ্রীচৈন্যদেব’, সিনেমায় বাজিমাত করতে এই নায়কই অনুপ্রেরণা দিব্যজ্যোতির
এবার সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকা (United States of America)। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার নেতৃত্বে ২০০৭ সালের বেজিংয়ের আধিপত্য রুখতে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) গঠন করা হয়। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও ওই সামরিক সংগঠনের সদস্য। ওই জোটের সামরিক মহড়ায় একাধিক বার নয়াদিল্লি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তি প্রদর্শন করেছে।
যদিও ‘স্কোয়াড’ সরাসরি চিনের প্রভাব বলয়ের আওতায় যার কারণে সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে চিনের (China) সঙ্গে। এ বিষয়ে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত। যদিও জেনারেল ব্রাউনার তাঁদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে জানান, ‘‘আমরা আগামী দিনে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের খবরদারি রুখতে ‘স্কোয়াড’-কে প্রসারিত করতে চাই।’’