অতিরিক্ত ইলেক্টরিক আসায়, সিএসসি দপ্তরের বাইরে ক্ষোভ উগরে দিলো বাংলার মানুষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবাংলায় (West bengal) বিগত কয়েকদিন ধরে CESE (Calcutta Electric Supply Corporation)-এর মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে বহু মানুষই কর্মহীন হয়ে পড়লেও, খরচা কোনমতেই কমছে না। লকডাউনের মধ্যে বিদ্যুতের বিল আরও চিন্তায় ফেলে দিয়েছে মানুষজনকে।

new 2 9

আকাশ ছোঁয়া বিদ্যুতের বিল
ভুতুড়ে বিলের ভারে জর্জরিত বাংলার মানুষ। কারো এসেছে ১১ হাজার টাকা, কারো বা আবার ১৬ হাজার। যে ব্যাক্তির তিন মাসে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা বিল আসে, সেই ব্যক্তির এমাসে বিল এসেছে ১৬ হাজার টাকা। আকাশ ছোঁয়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে এবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ।

new 69

বিদ্যুৎ বিভ্রাট
শুধুমাত্র সাধারণ মানুষই নয়। এই পাহাড় সমান বিলের ঝোক্কি পোহাতে হয়েছে সমাজের স্বনামধন্য ব্যক্তিদেরকেও। কখনও বিদ্যুৎমন্ত্রী তো আবার কখনও অভিনেতা। সম্প্রতি বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন এমাসে তাঁর বাড়িতে বিদ্যুতের বিল এসেছে ১১ হাজার টাকা। এই ভুয়ো বিলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনিও। বিদ্যুতের বিল নিয়ে ট্যুইট করেছেন আবার অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাও। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে এমাসে ২১ হাজার টাকা বিল এসেছে।

 

প্রতিবাদে সামিল সাধারণ মানুষ
এই বিশাল পরিমাণ ইলেক্ট্রিক বিলের প্রতিবাদে শনিবার গড়িয়াহাট ম্যান্ডেলা গার্ডেন সিএসসি দপ্তরের বাইরে ভিড় জমিয়েছিল সাধারণ মানুষ। সংকটের দিনে করোনা বিধি নিষেধ মেনেই চলল বিক্ষোভ প্রদর্শন। এই অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তীও। এই পাহাড় সমান ইলেকট্রিক বিলকে তিনি ভুতুরে বিল বলেও সম্বোধন করলেন। সেইসঙ্গে বললেন, ‘দিল্লী তামিলনাড়ুর সরকার যদি সারা বছরে বিদুত্যের বিলে ২০০ ইউনিট অবধি ছাড় দিতে পারে, তাহলে লকডাউন সময়কালে বাংলায় তা কেন করা হচ্ছে না?’

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর