বাঁচালেন দুটি প্রাণ! মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বার জন্য যা করলেন অভিষেক… ধন্য ধন্য করছে সকলে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবেগি অভিষেক। ফের অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূল (Trinamool Congress) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌথ উদ্যোগে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা পেলেন মাথা গোঁজার ঠাঁই। পাশাপাশি চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করে দেওয়ায় সুস্থভাবে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন ওই অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা।

মূল ঘটনা: বেশ কিছুদিন ধরে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার বজবজ স্টেশনে এক অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ও তার মাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল। মহিলা কানে শুনতে পায় না, রাতের বেলাতেও চোখেও দেখতে পান না। স্টেশন চত্বরে প্লাস্টিক দিয়ে ঝুপড়ি তৈরি করে সেখানেই রাত কাটাছিলেন তারা। পথ চলতি মানুষ থেকে ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে পয়সা চেয়ে তাদের দিন গুজরান হচ্ছিল।

   

প্রায়শই ওই মা-মেয়েকে স্টেশন চত্বরে দেখতেন কুনাল দলুই নামে পূজালীর বাসিন্দা এক বৃহন্নলা ভিক্ষুক। তবে হঠাৎ একদিন ওই ভারসাম্যহীন মহিলাকে স্টেশন ছটফট করতে দেখে তার কাছে যান বৃহন্নলা। বুঝতে সমস্যা হয়নি যে ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই চিকিৎসা সাহায্য চেয়ে স্থানীয় বজবজ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কৌশিক রায়ের দ্বারস্থ হন বৃহন্নলা।

কাউন্সিলর তৎক্ষণাৎ ওই মহিলাকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ভারসাম্যহীন মহিলার পরিচয় পত্র না থাকায় চিকিৎসার পথে সমস্যা হয় দাঁড়াচ্ছিল। কোনো উপায় না পেয়ে কাউন্সিলর কৌশিক রায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের অফিসে যোগাযোগ করেন। তারপরই হল সুরাহা।

অভিষেকর অফিসের তরফে ওই ভারসাম্যহীন মহিলার চিকিৎসার জন্য যাতে ওই বৃহন্নলার পরিচয় পত্র ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। তবে তখন সন্তান প্রসব করেননি ওই মহিলা। এরপর তার তিনদিন পর বজবজ পৌর হাসপাতালে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় ওই মহিলা। মা সদ্যোজাত দুজনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।

abhishek 5

আরও পড়ুন: তুমুল তোলাবাজির অভিযোগ! অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে FIR, বড় নির্দেশ আদালতের

আপাতত দুধের শিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার সেবা শুশ্রূষার দায়িত্ব নিয়েছেন ওই বৃহন্নলাই। তার কাছেই রয়েছেন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। ওই মহিলা এবং তার মায়ের থাকার জন্যও অস্থায়ী একটি ঘরেরও ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন কাউন্সিলর কৌশিক রায়। পাশাপাশি ওই মহিলার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বজবজ পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর