বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠতেই দীর্ঘ ৫ মাস আবারও লোকাল ট্রেন (local train) চালাতে সম্মতি দেয় রাজ্য সরকার। আবারও পূর্বেকার চেনা ছন্দে ফিরছে স্টেশনগুলো। ধীরে ধীরে পূর্বেকার নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন চলবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে এই নতুন ধারায় কিছু সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। একদিকে যেমন নতুন করে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হতেই সিগন্যালিং সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে ট্রেন চালাতে কিছুটা বিঘ্ন হওয়ায় নির্ধারিত সময় থেকে দেরিতে চলছে ট্রেন, তেমনি অন্যদিকে ট্রেনের টিকিটের ভাড়া বেড়ে প্রায় দ্বিগুণও হয়ে গিয়েছে।
এমনই অভিযোগ করে প্রথম দিনই প্রতিবাদে সরব হয়েছিল লালগোলা প্যাসেঞ্জারের যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, পূর্বে যা দাম ছিল, তার থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে বর্তমান সময়ে ট্রেনের টিকিটের ভাড়া। না জানিয়েই রাতারাতি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে টিকিটের ভাড়া।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই টিকিট কাটতে গিয়ে সমস্যায়ও পড়েছেন। অনেকেই অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার বিষয়ে অবগত না থাকায়, কিছুটা সমস্যায় পড়েন। তাঁদের দাবি, টিকিট কাউন্টারগুলো পাবলিকের কাছ থেকে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়ার বদলে এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া নিচ্ছে।
যাত্রীদের থেকে জানা গিয়েছে, দ্বিগুণ করা হয়েছে লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া। আবার আগে যেখানে বর্ধমান থেকে অন্ডালের ভাড়া ছিল ২০ টাকা, এখন তা দিতে হচ্ছে ৪৫ টাকা। আবার বর্ধমান থেকে বোলপুরের ভাড়াও ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা।
যদিও এই বিষয়ে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত মার্চ মাস থেকেই কিছু কিছু রুটে টিকিটের ভাড়া বেড়ে যায়। তবে করোনা আবহ থাকায় এবং স্পেশাল ট্রেন চলায়, তা নেওয়া হয়নি। রেল বোর্ড আগেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর করে দিয়েছিল, হঠাৎ করে কিছু হয়নি।