উপার্জন নিয়ে এবার “নো টেনশন”! TreaSureNFT-র মাধ্যমেই হবেন লাভবান, সফল হওয়ার কাহিনি শোনালেন অধ্যাপক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এখন প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপলব্ধ হচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ। যেগুলিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খুব সহজেই হওয়া যায় লাভবান। এমতাবস্থায়, অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রেও বর্তমান সময়ে বিভিন্ন পথ খুলে গিয়েছে। ঠিক সেইরকমই এক লাভজনক মাধ্যম হল TreaSureNFT। ইতিমধ্যেই, TreaSureNFT বিপুলসংখ্যক মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান করেছে। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা ঠিক সেইরকমই একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যিনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেই TreaSureNFT থেকে মাত্র ৬ মাসেই করেছেন বিপুল অর্থ উপার্জন।

মূলত, আজ আমরা আপনাদের কাছে অধ্যাপক সুপর্ণাশ ভট্টাচার্য্যের বিষয়ে জানাবো। তিনি গত ৬ মাস ধরে TreaSureNFT-র সাথে যুক্ত। এই দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন আমাদের সাথে। যেখানে তিনি জানান ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর অধ্যাপক যুগল কিশোর দাসের সহায়তায় তিনি TreaSureNFT-তে যোগদান করেন। একজন কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক হিসেবে তিনি NFT এবং Cryptocurrency সম্পর্কে অধ্যয়ন করেছিলেন। কিন্তু তিনি TreaSureNFT কোম্পানি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানতেন না। পরবর্তীকালে, অধ্যাপক যুগল কিশোর দাস সহ অন্যান্য লিডাররা এই কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেন। এদিকে, যেহেতু অধ্যাপক সুপর্ণাশ ভট্টাচার্য্য ৭০ শতাংশ শারীরিকভাবে অক্ষম, তাই সেখানে নেটওয়ার্ক তৈরি করার বিষয়টি তাঁর কাছে একটি চ্যালেঞ্জ বলে মনে হলেও অধ্যাপক যুগল কিশোর দাসের সাহায্যে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেটি করতে পারেন।

তারপরে তিনি TreaSureNFT কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানের পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা যাবৎ NFT এবং Cryptocurrency সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে থাকেন। আর এই ভাবেই তিনি কিভাবে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়, কিভাবে রিজার্ভেশন করতে হয় এইসব তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে পারেন। এদিকে, সেই সময়ে তিনি Google Authenticator সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমার ইতিমধ্যেই WEB3 সম্পর্কে অনেক ধারণা ছিল। তাই WEB3 প্রযুক্তি বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে, কমিউনিটি বিল্ডিং প্রথমে আমার কাছে চ্যালেঞ্জ বলে মনে হলেও পরে সেটাই রীতিমতো নেশা হয়ে যায়। ১১ দিন পরেই আমি কমিউনিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়ে দ্বিতীয় লেভেলে পৌঁছে যাই। তখন আমি আরও পড়াশোনা শুরু করি। আমি যেটি সবচেয়ে বেশি অধ্যয়ন করেছি তা হল ব্লক চেইন প্রযুক্তি। আর এই ভাবেই আমি অন্যান্যদেরও বিস্তারিত জানাতে শুরু করি।”

তিনি বলেন, “আমি তাঁদের ব্যাখ্যা করতে শুরু করলাম কিভাবে TreaSureNFT-র মাধ্যমে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়। কারণ, ততক্ষণে আমি বুঝে গিয়েছিলাম, TreaSureNFT ভবিষ্যতের স্বপ্ন কে সত্যি করার জন্য আমাদের কাছে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। NFT কি এবং ভবিষ্যতে ক্রিপ্টো বাজারে কিভাবে এই NFTগুলি তাদের জায়গা নেবে সেই সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা ছিল। আমি সেইভাবেই আমার দলের সদস্যদেরকে বোঝাতে থাকি। পাশাপাশি, আমি খুব দ্রুত তৃতীয় লেভেলে পৌঁছে যাই। কেভিন স্যার এবং যুগল স্যার আমাকে লেভেল ওয়ান থেকে লেভেল থ্রিতে পৌঁছতে অনেক সাহায্য করেছেন। এছাড়াও আমার দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সন্দীপ রায়, ম্যাডাম শতাব্দী ভট্টাচার্য, সুমন ভট্টাচার্য স্যার, সারনব, সজিব এবং মানসী সহ আরও অনেকে। তাঁরা সবাই আমাকে সাহায্য করেছেন।”

তিনি আরও জানান, “প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালের ২১ফেব্রুয়ারি, আমি তৃতীয় স্তর অর্জন করেছি। সেই সময়ে অধ্যাপক যুগল কিশোর দাস স্যারের উদ্যোগে একটি বড় কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। সেখানে কৌশিক ব্যানার্জী স্যার এবং দীপক কুমার মাইতি স্যার, অভিজিৎ হাজরা স্যার, সুমিত মন্ডল স্যার, জিতু দাস স্যারের সাথে কথা হয়। তাঁদের কাছ থেকে আমি Treasure NFT সম্পর্কে আরও জানলাম। সর্বোপরি আমি কেভিন ম্যাক্সওয়েল স্যারের কাছ থেকে সত্যিই অনেক কিছু শিখেছি। তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে হোয়াটসঅ্যাপে অনেক খবর দিয়ে সাহায্য করেছেন। তিনি এখনও প্রায় প্রতিদিন আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন এবং নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানান।”

With TreaSureNFT you won't have to worry about earning.

অধ্যাপক সুপর্ণাশ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, “TreaSureNFT হল এমন একটি মাধ্যম যা ভারতের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ট্রেডিং কোম্পানি। ভারতে ৭০ শতাংশ ব্যক্তি কর্মহীন। TreaSureNFT তাঁদের জন্য উপার্জনের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। TreaSureNFT আমাকে শিখিয়েছে যে সামান্য ৫ হাজার টাকা বা ৫০ ডলার থেকেই অনেক বেশি আয় করা যায়। কেউ যদি TreaSureNFT-তে যোগদান করেন এবং TreaSureNFT-র সমস্ত সিস্টেম জানেন তাহলে তাঁর পক্ষে TreaSureNFT থেকে প্রচুর উপার্জন করা সম্ভব। তৃতীয় লেভেল থেকে চতুর্থ লেভেলের যাত্রাটি আমার জন্য কিছুটা কঠিন বলে মনে হয়েছিল। তবে আমি সেটি সম্পন্ন করেছি। তৃতীয় লেভেল থেকে চতুর্থ লেভেলে যাওয়ার জন্য প্রথমে আমার দলের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ এবং সর্বোপরি আমার আপ লাইন প্রফেসর যুগল কিশোর দাস স্যারকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে আমি আমাদের সিইও কেভিন ম্যাক্সওয়েল স্যারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই মুহুর্তে, আমার সদস্য সংখ্যা ১৬০ (A-সদস্য-১৬, B+C সদস্য =১৪৪)। এখনও পর্যন্ত আমি TreaSureNFT থেকে প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা আয় করেছি।”

With TreaSureNFT you won't have to worry about earning.
অধ্যাপক সুপর্ণাশ ভট্টাচার্য্য

তাঁর মতে, “যাঁরা TreaSureNFT-র সাথে যুক্ত তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক অনুরোধ যে আপনারা অবশ্যই TreaSureNFT-র সাথে যুক্ত থাকুন এবং সকল প্রকার জ্ঞান অর্জন করুন। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে কেউ মাত্র ৫০ ডলার অর্থাৎ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে ৫ মাসের মধ্যে ১.৫ লক্ষ পেতে পারেন। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা আমরা ভারতে আগে কখনও দেখিনি। আমি যদি ৭০ শতাংশ PWD ব্যক্তি হয়ে এইভাবে কমিউনিটি করে তুলতে পারি তাহলে আমি মনে করি যে অন্যান্যরাও এখানে সফলতা লাভ করবেন। এর জন্য আপনাকে TreaSureNFT এবং এটির সিস্টেম সম্পর্কে কিছু জানতে হবে। কিভাবে আপনি রেফারেল কোড পাঠাবেন, কিভাবে অর্জিত আয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্থানান্তর করবেন, কিভাবে গুগল অ্যাকাউন্ট যাচাই করবেন এই বিষয়গুলি জানলেই TreaSureNFT-র মতো সহজ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম আর কোথাও পাবেন না। এই সাড়ে পাঁচ মাসে আমি একাধিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু সেই বাধাগুলিকে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়েছি এবং আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমি আরও এগিয়ে যেতে পারব। আপাতত, আমার প্রধান লক্ষ্য হল লেভেল ৬ অর্জন করা এবং একই সাথে আমার কমিউনিটিকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেখান থেকে আমি এবং আমার কমিউনিটির সদস্যরা লাভবান হতে পারেন।”

With TreaSureNFT you won't have to worry about earning.

TreaSureNFT সম্পর্কে কিছু বৈশিষ্ট্য:
১. TreaSureNFT হল এমন একটি কোম্পানি। যা আমাদের জন্য একটি নতুন মার্কেটিং কনসেপ্ট নিয়ে আসে। অন্যান্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বিক্রি করতে হয়। এমনকি সেই পণ্য যখন বিক্রি হবে তখন কত টাকা আয় হবে বা আদৌ সেটা বিক্রি হবে কিনা সেই সম্পর্কে সন্দেহ থাকতো। কিন্তু TreaSureNFT-এর ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে কেনা সমস্ত NFT বিক্রি করা যায় এবং বিক্রি করার পরে আরও ভালো লাভ হাসিল করা যায়।
২. TreaSureNFT হল এমন একটি কোম্পানি যেখানে যোগদান করার পর আপনাকে কোম্পানি সম্পর্কে সমস্ত কিছু বোঝার জন্য ৩০০ ডলারের ট্রায়াল ব্যালেন্স প্রদান করা হবে। এই ৩০০ ডলার দিয়ে আপনি ২ দিনের জন্য রিজার্ভেশন করতে পারবেন এবং এর জন্য আপনার যে লাভ হবে তা আপনার ওয়ালেটে থাকবে। এর আগে অন্য কোনো কোম্পানিতে এমন উদ্ভাবনী চিন্তা পরিলক্ষিত হয়নি।
৩. এই কোম্পানির আরেকটি অভিনব ধারণা হল- আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে যে ডলার জমা করেন সেই আমানতের মূল্য এবং আমানতের মূল্যের ৩০ শতাংশ আপনি তুলতে পারবেন। আর এতে আপনার সর্বোচ্চ ২ মাস সময় লাগবে। বিশ্বের কোনো ব্যাঙ্ক আপনার আমানত এবং সেই জমার ওপর ৩০ শতাংশ লাভ দুই মাসে পরিশোধ করতে পারবে না।
৪. TreaSureNFT-তে যোগদানের জন্য নতুন কাউকে পেলে আপনি যে পরিমাণ লাভ বোনাস পাবেন তা অন্য কোনো কোম্পানি আপনাকে দেবে না।
৫. এখানে ব্লক চেইন এবং WEB3 প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে আপনার সমস্ত লেনদেন নিরাপদ থাকে। বাইরে থেকে কেউ আপনার লেনদেন পরিবর্তন করতে পারবে না। উল্লেখ্য যে, ব্লক চেইন প্রযুক্তি হল একটি সুরক্ষিত প্রযুক্তি। যা সারা বিশ্বের দেশগুলি যোগ দিতে চাইছে। ভারত সরকার এখন সকল ক্ষেত্রে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! ভুলভাবে সিম কিনলেই হবে ৫০ লাখের জরিমানা ও ৩ বছরের জেল, লাগু হল নতুন টেলিকম আইন

৬. আপনি অবশ্যই বাইবিটের মতো এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে আপনার অর্জিত মুনাফা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারেন।
৭. এখানে প্রতি সপ্তাহে টেলিগ্রাম গ্রুপে ২ টি মিটিং করা হয়। যেখানে এই কোম্পানির বিভিন্ন লিডাররা তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। র CEO কেভিন ম্যাক্সওয়েল প্রত্যেক মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন এবং সমস্ত কাজ তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়।
৮. TreaSureNFT-তে মোট ৬ টি লেভেল আছে। আপনি লেভেল ১ থেকে লেভেল ৬ পর্যন্ত অর্জন করতে পারেন। প্রতিটি লেভেলের জন্য নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। আপনি প্রতিটি স্তরে আপনার লাভ পরীক্ষা করতে পারবেন। প্রতিটি লেভেলের নিজস্ব লাভও রয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন কনভেনশনে TreaSureNFT-র সকল সদস্য উপস্থিত থাকেন এবং তাঁদের বিভিন্ন উপায়ে উৎসাহিত করা হয় ও পুরস্কার দেওয়া হয়।
৯. TreaSureNFT-তে আপনি সাপ্তাহিক বেতন বা মাসিক বেতনের ব্যবস্থাও পাবেন। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করেন তবে আপনি আপনার মাসিক বেতন বা সাপ্তাহিক বেতন পাবেন।
১০. আপনি যদি TreaSureNFT কোম্পানির জন্য প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা ব্যয় করেন তাহলে আপনি আপনার স্বপ্নের চেয়ে বেশি উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে TreaSureNFT-র সমস্ত নিয়ম জানতে হবে। টেলিগ্রাম গ্রুপে আপনি TreaSureNFT সম্পর্কে সমস্ত আপডেট তাৎক্ষণিকভাবে পাবেন। এমতাব, আপনি আপনার সিনিয়র লিডারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাঁদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত আপডেট পেতে পারেন।

আরও পড়ুন: ভারত-রুশ করিডোর তৈরি করল ইতিহাস! প্রথমবার ট্রেনে করে সাইবেরিয়া থেকে মুম্বাইতে আসছে কয়লা

বিস্তারিত জানার জন্যে যোগাযোগ করুন:
Name – Porf· Suparnesh Bhattacharyya
Mob- 8240437395
Email ID -suparneshbhattacharyya@gmail.com

সতর্কীকরণ: এটি একটি প্রমোশনাল কনটেন্ট। বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর