ভাত করার জন্য চালকে গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে তবেই তা ভাতে পরিনত করা সম্ভব। কিন্তু সেই কাজ যদি আরো সহজ হয়। তাহলে কেমন হবে। প্রত্যেকের কাছে আরো সহজ হয়ে ঊঠবে। কারন অনেকেই সকালে এই ভাত করার ঝামেলায় ভাত খাওয়ায় অরুচি ধরিয়ে ফেলেন। বাইরে খায় অনেকেই। কিন্তু এবার খুব তাড়াতাড়ি নতুন বছরে রাজ্যবাসীর কাছে ভারতীয় কৃষি বিজ্ঞানীদের উপহার আসছে নতিন চাল। এই ধানের নাম কোমল ধান । এই ভাত রান্না করতে লাগবে না কোনও জ্বালানি।
কোনও জ্বালানির প্রয়োজন নেই। আধ ঘণ্টা ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে রাখলেই ফুলে উঠবে এই ধানের চাল। আর এই ভাত হোয়ায় অনেকের কাছেই ভাত খাওয়ার সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি কারন আগুন জ্বালানোর সমস্যা নেই। বিদ্যুতের খরচ নেই। নেই কাজের চাপ। তবে সবজি, মাছ-মাংস দিয়ে সেভাবে খাওয়া যাবে না এই ভাত। আর দই-গুড় দিয়ে তেমনি জমে যাবে।দশ বছর ধরে নদিয়ার ফুলিয়ায়, রাজ্য সরকারের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে গবেষণা চালানোর পরে বানানো হয়েছে এই চাল। আর এই নতুন আবিস্কার শেস অব্দি দিয়েছে সাফল্য। কারন আগুন ছাড়া চাল দিয়ে ভাত করা যেন এক অসম্ভব কাজ। আগে অনেকেই উনুনে রান্না করতেন, পরে গ্যাস এলো, আর এখন সবাই ইন্ডাকশানে রান্না করে থাকেন। তবে যারা কাজের চাপে রান্না করতে পারেন না।
আবার অনেকেই খুব অলস হয় তাদের জন্য আর ঝামেলা থাকবে না। তার এই ভাত খেতে পারে খুব সহজে। কোমল ধান চাষে রাসায়নিক সারও লাগে না। এমন কি কীটনাশকেরও প্রয়োজন কম। । কোমল ধান চাষে উত্সাহ যোগাতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। আশা করা হছহে এই চাল সবার কাছে জনপ্রিয় হবে। আর যদি এর ফলন বাড়ে তবে ভিন রাজ্যে রফতানির ভাবনাও আছে। আর মাত্রকদিনের অপেক্ষা করতে হবে এই কোমল ধানের জন্য , আর তা এলে সবাই জমিয়ে খাবে এই চালের ভাত।