দার্জিলিং তো অনেক হল, এবার সামান্য খরচে ঘুরে আসুন এই হিল স্টেশন থেকে! হারিয়ে যাবেন রূপে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই বছর যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে নাভিশ্বাস উঠছে বঙ্গবাসীর। এই অবস্থায় অনেকেরই মনে হচ্ছে যদি কয়েকটা দিন পাহাড়ে ঘুরে আসা যায় তাহলে কতই না ভালো হয়। তবে পরিচিত শৈল শহরগুলিতে এখন এতটাই ভিড় যে সেখানে নির্জনতার সাথে সময় কাটানো দুরস্ত। যারা পাহাড় ভালবাসেন অথচ নির্জনতার মাঝে ছুটি কাটাতে চান তাদের জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি তেমনই একটি অফবিট (Offbeat Destination) জায়গার খোঁজ।

তাবাকোশি (Tabakoshi) এমন এক মনোরম জায়গা যেখানে গেলে আপনার আর ফিরে আসতে মন চাইবে না। এই জায়গাটির স্বর্গরাজ্যের মত সুন্দর। স্বচ্ছ আয়নার মতো পাথুরে নদী এই গ্রামে বয়ে চলে যায়। নাম না জানা অজস্র ফুলের বাহার হাত বাড়িয়ে থাকে আপনাকে ছোঁয়ার জন্য। রংভঙ্ নদীর পাশের এই ছোট্ট গ্রামটি যেন এক রূপকথার দেশ। জিএনএলএফ নেতা সুভাষ ঘিষিংয়ের উদ্যোগে গ্রামটিকে পর্যটনের জন্য সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বর্তমানে অনেকেই মনোরম এই গ্রামে ঘুরতে যান। শান্ত, সিগ্ধ এই গ্রামের রূপে মুগ্ধ হন আট থেকে আশি। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এই গ্রামটি ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে। এই গ্রামের নামকরণের পিছনে রয়েছে মজার কাহিনী। স্থানীয়রা বলেন, বর্ষাকালে এই গ্রামের নদীর জল বেশ ঘোলাটে আকার ধারণ করে। সেই জল অনেকটা তামার মত দেখতে হয়। সেই তামার রঙের জল থেকেই এই গ্রামের নাম হয়েছে তাবাকোশি।

Tabakoshi

এই গ্রামে রয়েছে অনেক আকর্ষণীয় স্থান। বিষ্ণু মন্দির, তাবাকোশি পার্ক, ভারত-নেপাল সীমান্ত-এ আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। এনজেপি থেকে সুখিয়া পোখরিয়াডং হয়ে যেতে পারেন তাবাকোশি। এছাড়াও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করেও সরাসরি আপনারা এখানে পৌঁছে যেতে পারেন। এই গ্রামে থাকার জন্য বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে। সেগুলির খরচ ১৩০০ টাকার মধ্যে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর