বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর কিছুদিন পরই আসছে বৈশাখ। আগামী দু মাস সারা বাংলা গরমে নাজেহাল হবে। এই সময় তাই অনেক বাঙালি ঘুরতে যান পাহাড়ে। মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আম বাঙালি পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু পাহাড় বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দার্জিলিং। একঘেয়ে দার্জিলিং যেতে যেতে অনেকেই ক্লান্ত।
আপনাদের মনে হতেই পারে দার্জিলিং (Darjeeling) ছাড়া কম খরচে আর যাওয়ার জায়গাই বা কোথায় রয়েছে? কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক হিল স্টেশনের সন্ধান দেবো যেখানে আপনাদের সম্পূর্ণ অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে। বন্ধু বা পরিবারের সাথে হারিয়ে যাবেন মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়ের কোলে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই এই হিল স্টেশনগুলি সম্পর্কে-
•দাওয়াইপানি (Dawaipani): কিছু বছর আগে পর্যন্ত অধিকাংশ মানুষই এই জায়গার নাম জানতেন না। যারা অফবিট স্থানে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন তারা এখানে আসতে পারেন। এই জায়গাটি অত্যন্ত নিস্তব্ধ ও নির্জন। সন্ধ্যায় বন্ধু বা পরিবারের লোকেদের সাথে ক্যাম্প ফায়ার আর বারবিকিউ চিকেনের সাথে জমিয়ে দিতে পারেন আড্ডা।
•লেপচাজগত (Lepchajagat): এককালে এই জায়গায় লেপচাদের একাধিপত্য থাকলেও, বর্তমানে লামা, গুরুং ইত্যাদি মানুষজনরাও এখানে থাকেন। মূলত লেপচাদের নিয়ে গড়ে ওঠা পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটি গ্রাম লেপচাজগত। ওক, পাইন, রডোডেনড্রন, ধুপি, গুরাস, চাপ, কাওলা, শাল ও নানান পাহাড়ি গাছে এই গ্রামের দুই ধারের পথ সেজে উঠেছে।
•কোলাখাম (Kolakham): এই জায়গাটি লাভা থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে। চোখ মেললে সামনে দেখবেন তুষারধবল কাঞ্চনজঙ্ঘা। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের মাঝখানে বিভিন্ন পাহাড়ি জন্তুর দেখা পেতে পারেন আপনি। এই রাস্তা ধরে এগোলে চোখে পড়ে অজস্র পাখি। ডার্ক সাইডেড ফ্লাই ক্যাচার, রুফাস সিবিয়া, গ্রিন-ব্যাকড টিট ইত্যাদি। ছাঙ্গে ওয়াটারফলস এই জায়গার খুব কাছেই অবস্থিত।
•সিটং (Sittong): পাহাড়ে ঘেরা, সবুজে ঢাকা সাজানো এক লেপচা জনপদ সিটং। কার্শিয়াং মহকুমার এই ছোট্ট এলাকাই এখন পর্যটন মানচিত্রের নতুন আকর্ষণ। ছবির মতো সুন্দর গ্রামে ছবির মতো কটেজ। সাজানো ও পরিচ্ছন্ন। এই জায়গাটি কমলালেবুর বাগানের জন্য খুবই বিখ্যাত। গ্রীষ্মকালে এই জায়গার ঠান্ডা হাওয়া আপনার মনকে ফুরফুরে করে তুলবে।
•রামধুরা (Ramdhuna): মেঘেদের দেশ রামধুরা। কালিম্পং শহরের সন্নিকটে অবস্থিত রামধুরা। বহু নিচে ঘুমিয়ে রয়েছে তিস্তা, নীল পাহাড়ের ঢেউ। চারিদিকে ফুল আর ফুল। রাতে হাজার হাজার তারা মাথার উপর ফুটে থাকে। এখান থেকে আপনি ইচ্ছেগাঁও যেতে পারেন ট্রেকিং করতে। তারপর মেঘেদের আনাগোনায় সময় কাটাতে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন।
উল্লেখ্য, এই সবকটি জায়গাতেই হোটেল খরচ প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। আপনি চাইলে এর থেকেও কিছুটা কমে হোটেল পেতে পারেন।