বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিঘা-পুরী তো সারাবছর প্রায়ই বেড়াতে যান পর্যটকরা। আর এদিকে, গরমকাল মানেই ভ্রমণপ্রেমীদের ফার্স্ট টার্গেট ‘পাহাড়’। আর ঘরের কাছে পাহাড়ভ্রমণ মানেই দার্জিলিং। কিন্তু বারবার করে কী আর দার্জিলিং যেতে মন চায় ? দার্জিলিং মানেইতো ম্যাল রোডের ঠাসা ভিড়। আবার, অনেকেই আছেন যারা একটু অফবিট ডেস্টিনেশন ঘোরার বিষয়েই কৌতুহলী বেশী। ফলে, পাহাড়ী সৌন্দর্যর সঙ্গে নির্জনতায় মোড়া এক দুর্দান্ত উইকেন্ড ডেস্টিনেশনের (Weekend Destination) সন্ধান রইল আপনাদের জন্য।
কথা হচ্ছে, রিয়াং নদীর পাশে পাহাড়ের লোকে লুকিয়ে থাকা স্থানটিকে নিয়ে। জায়গার নাম যোগীঘাট (Jogighat)। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এই যোগীঘাট যেন সাক্ষাৎ স্বর্গ। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘তখনও রিয়াংখোলা থেকে’ কবিতার সার্থক রূপ যেন দেখা যায় যোগীঘাটে। দু’পারের চোখজুড়নো নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন আপনিও। বছরের যে কোনও সময়েই দুদিনের ছুটি নিয়েই রিয়াং নদীর শব্দ শোনার জন্য যেতে পারে যোগীঘাট।
এককথায় বলা যায়, যোগীঘাট কিন্তু ভারী রোমান্টিক একটা জায়গা। পাখির কলতান, নদীর জলের স্রোতের শব্দ আর সামনে সবুজ জঙ্গল-এই তিনের মিশেল যেন এক দুর্দান্ত রূপ দিয়েছে রিয়াং নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই ছোট্ট গ্রামটিকে। পথের পাশে জঙ্গলের শোভাও এককথায় অসাধারণ। আলো-ছায়ার আল্পনা আঁকা পার্বত্যভূমি। বর্ষায় ঘন সবুজ হয়ে থাকা এই যোগীঘাট শীতে যেন অন্য রূপ ধারণ করে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, সাড়ে ৩ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই জায়গাটিতে ঘুরতে গেলে আপনি একই সঙ্গে স্যালামান্ডারের বাসভূমি নামথিং পোখরি, কার্শিয়াং, মংপুতে রবীন্দ্রতীর্থ দেখে আসতে পারবেন। এখানে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোম স্টে বেছে নিতে পারেন। থাকা খাওয়া মিলিয়ে জনপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ এর মতো খরচ হবে আপনার। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা রিয়াং নদীর পাশে তাঁবু খাঁটিয়ে থাকতে পারে।
এখন প্রশ্ন হল, এই দুর্দান্ত ট্যুরিস্ট স্পটটাই আপনি পা রাখবেন কিভাবে? আপনাকে যোগীঘাট দর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে গেলে প্রথমেই মেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়িতে করে যোগীঘাট যাওয়ার জন্য দু’টি রাস্তা আছে। এরমধ্যে একটি হলো রোহিনী রোড, কার্শিয়াং, দিলারাম হয়ে। অন্যটি সেবক রোড, রম্ভি, মংপু, লাবদা হয়ে। দুই রাস্তাতেই শিলিগুড়ি থেকে ৭০-৭৫ কিমি দূরে এইস্থান।