বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) রক্ষাকবচ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। যার জেরে এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না। তবে এফআইআর ছাড়াও গ্রেফতার করা সম্ভব। এই রকম টা নাকি হয়েছিল তৃণমূলের বর্তমান রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh) ক্ষেত্রে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নিজের গ্রেফতারির কথা তোলেন তিনি। এবং তারপরই আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হলেন কুণাল ঘোষ। তিনি পরিস্কার জানালেন, ‘কোথাও লেখা নেই গ্রেফতার করা যাবে না।’
বুধবার আসানসোলে (Asansol) শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। সেই ঘটনায় এই মুহুর্ত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। সেই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি নিজের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনাও সকলের সামনে নিয়ে আসেন।
কুণাল বলেন, ‘বলা আছে, আগামী দিনে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও এফআইআর করা যাবে না। পুলিসের কাছে অনুরোধ রাখব, তদন্ত যা চলছে চলুক। দলের কোনও হস্তক্ষেপ নয়। কিন্তু ‘নট টু অ্যারেস্ট’ যদি বলে, তাতে তাঁকে গ্রেফতারের কোনও কথা তো লেখা নেই। পুলিস মনে করলে আজ এখনই শুভেন্দুকে গ্রেফতার করতে পারে। ৩-৪ জন ধরা পড়ল হয়ত। জেরার সময় অভিযুক্তরা যদি আরও কারও নাম বলে তবে তার নামে এফআইআর না করেও গ্রেফতার করতে পারে পুলিস।’
এ বিষয়ে আইনের ধারার কথাও বলেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানা, ‘আমার জীবন দিয়ে বলছি, সিআরপিসি (CRPC) দেখুন, আইপিসি (IPC) দেখুন। নাম নথিভুক্ত নাও থাকতে পারে। অন্য অভিযুক্ত হিসাবে আর কারও নাম জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতার করা যাবে। ১৬১ বা ১৬৪ এর ধারায় গ্রেফতার করা যায়। আমি, কুণাল ঘোষ বলছি, আমায় এইভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমার উদাহরণ দিয়ে বলছি জামার কলার ধরে তাকে গ্রেফতার করে আনুক। যে কোনও মামলায় তাকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা যেতে পরে, নাহলে তাকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। এফআইআর-এ স্টে মানে নতুন করে এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী গ্রেফতারির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ৩ জন আসানসোলে মারা গিয়েছে। সেই ঘটনায় শুভেন্দুকে গ্রেফতার করে আনুক পুলিস।’