বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগে শ্বশুরের অণ্ডকোষের উপর বাড়ির বৌমা হামলা চালানোর খবর প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় ঘটনাস্থল ছিল মেদিনীপুরের ময়না। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার পূর্ব মেদিনীপুরে ঘটে গেল এই রকম চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা। জানা গিয়েছে ঝগড়া চলাকালীন হটাৎ স্বামীর অণ্ডকোষে কামড় বসান স্ত্রী। ঘটনার ফলে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আহত যুবককে ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহত ব্যক্তি এই হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী। রবিবার রাতের এই ঘটনার পর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা এই দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে অশান্তি হতো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দম্পতির বিয়ে হয় প্রায় সাত বছর আগে। একটি সন্তানও রয়েছে তাদের। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্পর্ক খুব খারাপ ছিল এই স্বামী-স্ত্রীর। নিত্যদিন ঝামেলা লেগে থাকতো। রবিবার রাতেও এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। তখনই স্ত্রী স্বামীর লুঙ্গি খুলে অণ্ডকোষে কামড় বসিয়ে দেন। এরপর পুরুষটি প্রবল চিৎকার করলে স্থানীয় প্রতিবেশীরা জড়ো হন বাড়ির সামনে।
তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরাও। তাঁদের কথায়, “সব পরিবারেই কমবেশি অশান্তি হয়। কিন্তু, এই ধরনের ঘটনা আমাদের পাড়ায় কখনও ঘটেনি। আমরা সকলেই হতবাক।”
অপরদিকে, স্ত্রী জানিয়েছেন, রোজ সাংসারিক বিষয়ে তুলকালাম কাণ্ড চলত। স্বামীর উপর হামলা করে তিনি মোটেও অনুতপ্ত নন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তার, দাবি ওই বধূর। স্ত্রীর কথায়, “আমার উপর ও অত্যাচার করতো। আমি প্রচন্ড রাগ থেকে এই কাজ করেছি।” জানা যাচ্ছে, তার শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। প্রাণের কোনও সংকট নেই।