বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিরিয়ানি লাভার (Biriyani Lover) ভোজন রসিকদের কাছে বিরিয়ানি (Biriyani) মানেই ইমোশন! বিরিয়ানি প্রেমীদের কাছে স্বাদে-গন্ধে এই সুস্বাদু খাবারের জুড়ি মেলা ভার। তাই বিরিয়ানির গন্ধ নাকে এলেই খিদে পেয়ে যায় বিরিয়ানি প্রেমীদের। অথচ এহেন বিরিয়ানি খেয়েই যে কারও মৃত্যু (Death) হতে পারে তা বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি কেউ। কিন্তু সম্প্রতি এই বিরিয়ানি খেয়েই মৃত্যু হল কেরালার (Kerala) এক মহিলার। একইসাথে বমি এবং ডায়রিয়ার মত উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরো ১৭৮ জন ।
শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের ত্রিশূর জেলার পেরিনজানাম এলাকার একটি রেস্তরাঁয়। জানা গেছে সেখানে বিগত কয়েকদিন ধরেই ঢালাও ‘বিরিয়ানি’ বিক্রি করা হচ্ছিল। তাই ভিড়-ও হচ্ছিল ভালোই। কিন্তু সপ্তাহের শেষে শনিবার একটু বেশিই ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রাহকরা। তাই চাহিদা বেশি থাকার কারণে নিমেষের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় বিরিয়ানির হাড়ি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ওই বিরিয়ানি খাওয়ার পরেই একে একে অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েন দোকানের সমস্ত গ্রাহক।
ওই বিরিয়ানি খাওয়ার এদিন প্রথমে পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা আর বমির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কুটিলাক্কাদাও এলাকার বাসিন্দা উজ়াইবা (৫৬)। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ওই হাসপাতালেই অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ওই মৃত মহিলার আরও দুই আত্মীয়।
পুলিশ সূত্রে খবর ওই বিরিয়ানি খাওয়ার পরই সব গ্রাহকরা বমি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ আবার অসম্ভব পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি সমস্ত গ্রাহকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিরিয়ানি খেয়ে একসাথে মোট ১৭৮ জন গ্রাহক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষজন। ওই রেস্তোরাঁর মালিকের বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: এক লাথিতেই ব্যথা সারছে কোমরের! তারাপীঠে এই সাধুর দরবারে ভিড় আম জনতার
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান,খাবারে বিষক্রিয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিষক্রিয়া হল কী করে? তবে এখানে বলে রাখি যে খাবারটিকে বিরিয়ানি বলা হচ্ছে তা কিন্তু আদতে ইয়েমেনের একটি খাবারের রেসিপি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি। ওই রেস্তরাঁ যার নাম দিয়েছে ‘কুজিমান্থি’। তাই এই খাবারটি দেখতে পুরোপুরি বিরিয়ানির মতো হলেও তার স্বাদ, গন্ধ কিন্তু পুরোপুরি আলাদা।
আর এই খাবার সাথে যেহেতু মেয়োনিস দেওয়া হয় তাই প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই মেয়োনিস থেকেই বিষক্রিয়া হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ওই রেস্তরাঁর মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেইসাথে ওই রেস্তরাঁ-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সেদিনের ওই বিরিয়ানির স্যাম্পেল নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষাও করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ব্যবহৃত বাসনের পরীক্ষাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে।