বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঘরের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তবুও স্ত্রীর পড়াশোনায় কোনও খামতি রাখেননি তিনি। পড়াশোনার পরিবেশ থেকে শুরু করে খরচপাতি সবই জুগিয়েছেন। স্বামী থেকে শুরু করে গোটা পরিবারের সমর্থন পেয়ে স্কুল শিক্ষিকার (Teacher ) চাকরি পান স্ত্রী। আর চাকরি পাওয়ার পরেই পরকীয়া! আর তাতেই চরম পদক্ষেপ নিলেন তিনি।
সম্প্রতি এরকমই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল বিহার (Bihar)। জানহাদা পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত মাহিপুর গ্রামের বাসিন্দা কিশোর (নাম পরিবর্তিত) বিয়ে করেন ২০১০ সালে। বিয়ের পর স্ত্রীর পড়াশোনায় যাতে কোনো বাধা না আসে তার জন্য সবরকম চেষ্টা তিনি করেছেন। আর্থিক ভাবে তো পাশে থেকেইছেন, তার সাথে মানসিকভাবেও পাশে থেকেছেন।
স্ত্রীর শিক্ষিকা হওয়ায় স্বপ্ন পূরণ করার উদ্দেশ্যে নিজের শেষ সম্বল জমিও বিক্রি করে দেন তিনি। অবশেষে ২০২২ সালে কিশোরের স্ত্রী শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি পান। কিশোর ভেবেছিলেন এতে সংসারে সুখ ফিরবে। তার সন্তান ভালোভাবে মানুষ হবে। কিন্তু কোথায় কী? ভাগ্যের অদ্ভুত লীলায় তার স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি হয় সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে।
আর সেই প্রেমের টান এমনই যে স্বামীকে তো বটেই এমনকি দুই সন্তানকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন এ মহিলা। জানা যাচ্ছে যুগলের একটি ১২ বছরের মেয়ে রয়েছে এবং ৭ বছরের ছেলে। এরকম দুটি ছোট ছোট বাচ্চাকে এভাবে ফেলে যেতে দেখে রীতিমতো অবাক এলাকাবাসী।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। এদিকে এই কিন্তু, তাদের ফেলেই সম্প্রতি ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে চম্পট দিয়েছেন মহিলা। এরপরেই স্ত্রীকে ফেরত পেতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন কিশোর। তিনি এবং তাঁর মেয়ে-সন্তানরা এই ঘটনার বিবরণ দেন। আর কোনও উপায় না দেখে ঘটনার বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন কিশোর।
মিডিয়ার রিপোর্ট, প্রথম প্রথম স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোরের স্ত্রীকে বাড়ি থেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসতেন। বন্ধুর মত সময়ও কাটাতেন তারা। এই বিষয়ে একবার তার ১২ বছরের মেয়ে অভিযোগও জানিয়েছিল। তবে স্ত্রীর উপর বিশ্বাস হারাতে চাননি কিশোর। উল্টে মেয়েকেই চড় থাপ্পড় মেরেছিলেন। তবে এই ঘটনার পর দুই সন্তানই জানিয়েছেন, তারা আর মা-কে ফেরত পেতে চাননা। তারা নিজেরা নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছেন।