বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বানানোর অ্যাপে ‘ডুয়েট’ ভিডিও বানাতে গিয়েই পরিচয় দুজনের। এর পর ভিডিওর মতই জীবনেও জুটি বাঁধেন তাঁরা। কালিঘাটে বিয়ের পর সুখেই কাটছিল দিন। কিন্তু সম্পর্কের সুর কাটল আচমকাই। বাড়ি থেকে উধাও স্বামীর খোঁজে এখন হন্যে হয়ে রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার মারছেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে।
বিধাননগরের বাসিন্দা পিঙ্কি সাহা। লকডাউনের সময় স্যোসাল মিডিয়াম ভিডিও বানানোর মাধ্যমে তাঁর আলাপ হয় সুভাষচন্দ্র দাসের সঙ্গে। তারপর অচিরেই প্রেম। প্রথমে বেশ কয়েকমাস দুজনের দেখা না হলেও গত আগষ্ট মাসে দেখা করেন তাঁরা। সেই সময়েই মালাবদল করে বিয়ে সারেন কালিঘাটে। এরপর থেকে পার্কসার্কাসে একটি বাড়িতে সংসার পাতেন দম্পতি।
সবই চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু আচমকাই কাউকে কিছু না বলে গত ১১ তারিখ বাড়ি থেকে বেপাত্তা হন সুভাষ। পিঙ্কি সাহা জানানা, ‘ফেসবুকেই আলাপ আমাদের। এরপর একটি অ্যাপে ভিডিও বানাতাম দুজন। আগষ্ট মাসে দেখা করার পরই কালিঘাটে গিয়ে বিয়ে করি। কিন্তু গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ স্বামী। অনেকবার ফোন করেও কোনো ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি।’ সুভাষ নিখোঁজ হওয়ার পরই তপসিয়া থানায় মিসিং ডায়রি করেন পিঙ্কি। পুলিশের কাছ থেকেই জানতে পারেন শেষ বার ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটার মাঝখানেই অন হয়েছিল সুভাষের মোবাইল ফোন। এই খড়কূটোকে আঁকড়ে ধরেই গত একসপ্তাহ ধরে দাদার সঙ্গে উত্তরবঙ্গে পড়ে রয়েছেন বাংলায় এমএ পাশ ওই তরুণী। স্বামীর খোঁজে একের পর এক পোস্টার লাগিয়ে চলেছেন এলাকায়।
আপাতত একটাবার স্বামীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনের থেকে কয়েকটা উত্তর চান খালি পিঙ্কি। প্রতারণা নাকি ভাগ্য কী বলে নিজেকে প্রবোধ দেবেন সেই প্রশ্নেরও উত্তর নিখোঁজ পিঙ্কির জীবনে, স্বামী সুভাষের মতই। যদিও এতকিছুর পরও ভালোবাসার মানুষটাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশায় বাঁচছেন তরুণী।