বাংলাহান্ট ডেস্ক : একেবারে রাহুর গ্রাসে লণ্ডভণ্ড প্রেম। অন্তত তেমনই মনে করছেন সদ্য প্রেম হারানো এক তরুণী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে ২৬৯ জনের। সেই তালিকায় নাম ছিল মাথাভাঙার এক তরুণীরও। শিক্ষিকা পদে বরখাস্ত হওয়া পরই তাঁর সঙ্গে আর দেখা করতেই চাইছেন না তাঁর প্রমিক। এর প্রতিবাদেই ধর্নায় বসলেন প্রেমিকা৷
ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের নিশিগঞ্জে। সোমবারই আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন মাথাভাঙার ওই তরুণী। এরপরই তিনি তাঁর নিশিগঞ্জের প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রথম দিকে দেখা করতেই রাজি হননি প্রেমিক। শত অনুরোধের পর প্রেমিকাকে দেখা করতে তার বাড়িতে আসতে বলেছিলেন যুবক। কিন্তু নিশিগঞ্জে গ্রামের সেই বাড়িতে এসে তিনি দেখেন যুবকের টিকিটও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী, তাঁর পরিবারের সবাইও বেপাত্তা।
জানা গিয়েছে, বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন এলাকারই কলেজে কর্মরত ওই যুবক। যুবতী দাবি করেন ওই অতিথি শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর নাকি দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। অপরদিকে অতিথি শিক্ষক আবার টেলিফোনে জানান, ঘটকের মাধ্যমে এক সপ্তাহ আগে বিয়ের প্রস্তাব আসে। দু-একবার যুবতীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয় তাঁর। এর বেশি আর কিছু নেই। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
প্রেমিকা ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ওই সময় বাড়িতে রয়েছেন যুবকের এক মাসি। তিনি যুবকের কোনও খোঁজ দিতে পারেননি। বাড়িতে এসেও যুবককে ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনই তোলেননি। প্রেমিকের খোঁজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন সদ্য সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি হারানো প্রেমিকা। এরপরই বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন প্রেমিকা।
তরুণী জানান, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রায় ছয় মাস ধরে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু চাকরি চলে গিয়েছে জানতে পেরেই যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেন যুবক। যদিও ওই যুবক এই কথা মানতে নারাজ। পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ঘটকের মাধ্যমে এই পাত্রীর জন্য সম্বন্ধ দেখেছিল যুবকের পরিবার৷ কিন্তু কোনও রকম প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এ সব বলে এখন তাঁদের ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি যুবকের পরিবারের।