বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক মহিলা সাব ইনস্পেকটর সোমবার এক ৮০ বছরের গৃহহীন ব্যক্তির দেহ নিজের কাঁধে তুলে ১ কিমি পর্যন্ত নিয়ে যান। ব্যক্তির দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ এগিয়ে আসছিল না। এরপর ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক নিজেই নিজের কাঁধে ব্যক্তির মৃতদেহ তুলে নিয়ে যান। অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রীকাকুলম জেলার কাশীবুগা-পলাসার সমপঙ্গিপুরম গ্রামের এই ঘটনায় একদিকে যেমন স্তম্ভিত গোটা দেশ, তেমনই আরেকদিকে মহিলা পুলিশ আধিকারিকের কাজের বাহবাও দিচ্ছেন সবাই।
অন্ধ্রপ্রদেশের এই জায়গা কাজু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত, কাশীবুজ্ঞা পুলিশ গ্রামের ক্ষেতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়েছিল। এরপর থানার সাব ইনস্পেকটর কোট্টুরু সিরিশা কনস্টেবলদের সাথে সেখানে পৌঁছান।
কোট্টুরু সিরিশা বলেন, আমরা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহ দেখতে পাই। স্থানীয়রা জানান এই ব্যক্তি ভিখারি ছিলেন। মৃতদেহটি ক্ষেতের মধ্যে থেকে বের করা মুশকিল ছিল, কারণ সেখান থেকে বেরোনোর কোনও রাস্তা ছিল না। আমি স্থানীয়দের অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর আমি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করি। সিরিশা জানান, ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে আপাতত কোনও সন্দেহর কারণ নেই, কারণ ওনার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
https://www.youtube.com/watch?v=nK1N2qCLUp8
সিরিশা ওই ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তির মৃত্যু কারণ অনাহার বলে জানিয়েছেন। সিরিশা বলেন, যখন কেউ দেহটি ওঠাতে সাহায্য করছিল না, তখন আমি একটি ট্রাস্টের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাই। তিনি জানান, পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত দেহটিকে নিয়ে যেতে প্রায় ২৫ মিনিট সময় লেগেছিল। মহিলা পুলিশ আধিকারিককে দেহ নিয়ে যেতে দেখে কয়েকজন গ্রামবাসী সেই দেহটিকে সৎকার করার জন্য এগিয়ে আসেন আর মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সাহায্য করেন।
সাব ইনস্পেকটর সিরিশার একটি ১২ বছরের শিশুও আছে। সিরিশা জানান, আমি পুলিশের কাজ বেছে নিয়েছি কারণ, আমার বাবা নিজের চার কন্যা সন্তানের মধ্যে একজনকে পুলিশের কাজে দেখতে চাইতেন। সিরিশা বলেন, যখন আমি দেহটি তুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, তখন আমার মনে কোনও ভয় ছিল না। আমি মানুষের সেবা আর সমাজকে বদলানোর জন্য পুলিশে যুক্ত হয়েছি। মৃত মানুষও সন্মানের অধিকারী। আমি শুধু আমার কর্তব্য পালন করেছি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা