বাংলাহান্ট ডেস্ক : মর্মান্তিক ঘটনার স্বাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমানের কালনা। নববধূর আত্মহত্যার পর বিয়ের খরচ নিয়ে বচসার জেরে মর্গের বাইরেই পড়ে রইল মৃতদেহ। প্রায় ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পর হল সৎকার।
জানা যাচ্ছে, কালনার মেদগাছি গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী টুডুর বিয়ে হয়েছিল সপ্তাহ খানেক আগেই। দেখে শুনে দিব্যি ধুমধাম করেই মেয়ের বিয়ে দেয় পরিবার। কালনারই বাদলা কলপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় টুডুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মীর। দিন কয়েক মোটামুটি ঠিকঠাকই চলছিল সব।
কিন্তু শনিবার সকালে আচমকাই শ্বশুরবাড়িতে কেরোসিন তেলে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নববধূ। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কালনা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এদিন সকালে মৃত্যু হয় ওই বধূর। দেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল। এরপরই শুরু তুমুল ঝামেলা।
বিয়ের খরচ ফেরত চেয়ে ঝামেলা লাগে দু’বাড়ির। শ্বশুর বাড়ি এবং বাপের বাড়ির কে টাকা ফেরত দেবে তা নিয়ে তুমুল বচসা বেঁধে যায়। টাকা দিতে রাজি হয় না কোনও পক্ষই। এই বচসার জেরে রবিবার গভীর রাত অবধি মর্গের বাইরেই পড়ে থাকে ওই তরুণীর দেহ। শেষ মেষ ব্যাপারটিতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে দেহ নিয়ে বাড়ি আসে দুই পরিবার। সোমবার সকালে দেহ সৎকার করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার জেরে কার্যতই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মেয়ের মৃত্যুর পর মৃত্যু শোক ভুলে দুই বাড়ির টাকার জন্য এহেন বচসার রীতিমতো নিন্দা করেছেন স্থানীয় মানুষজন। দেহটি ফেলে রাখা নিয়েও ছিছিক্কার প্রতিবেশীদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, কেন আত্মহত্যা করলেন নববধূ, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।