বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইজরায়েল (Israel) এবং প্যালেস্টাইনের (Palestine) যুদ্ধে চাকরি গেল মুম্বইয়ের এক স্কুলের অধ্যক্ষার। সোশ্যাল মিডিয়াতে হামাস সম্পর্কিত একটি লেখা পোস্ট করেন, আর তারপরই তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বরখাস্ত হওয়া সেই স্কুল শিক্ষিকার নাম পারভিন শেখ। জঙ্গি দল হামাসের সমর্থনে পোস্ট করা শিক্ষিকার অবশ্য অভিযোগ, স্কুলের সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
মুম্বাইয়ের যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে সেই স্কুলের নাম সোমাইয়া বিদ্যাবিহার। আর বিতর্কের মাঝে তারা বিবৃতি দিয়েছে কেন ওই শিক্ষিকাকে বের করে দেওয়া হয়। তারা জানায়, ‘মিসেস পারভীন শেখের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপ সম্প্রতি আমাদের নজরে আসে। তিনি সোমাইয়া স্কুলের নেতৃস্থানীয় পদে ছিলেন। আমরা যে মূল্যবোধগুলি লালন করি তার সঙ্গে তাঁর পোস্টগুলি আমাদের কাছে বিভ্রান্তিমূলক মনে হয়েছে।’
এর সাথে স্কুলটি এও জানায় যে, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন অবশ্যই। কিন্তু সেইসাথে তারা এও মনে করেন যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ নয়। মত প্রকাশ করার সময় অন্যদের প্রতি দায়িত্ব এবং তাদের সম্মান রক্ষার কথা বিবেচনা করেই মত প্রকাশ করা উচিত। শেষে স্কুলটি লিখেছে, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য এবং নীতি নিশ্চিত করতে মিস পারভিন শেখের সঙ্গে সোমাইয়া বিদ্যাবিহার সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করেছে।’
আরও পড়ুন:বড় খবর, বাংলায় চলবে আরও একটি বন্দে ভারত! বিরাট ঘোষণা পূর্ব রেলের
এছাড়া একজন হামাসের মতো জঙ্গিদল এবং আতঙ্কবাদী সংগঠনের সমর্থনকারী স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াতে পারেন না এবং তাদের প্রতি যথাযথ কর্তব্য পালন করতে পারেন না সেকথাও উল্লেখ করে। তারা লিখেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে কমবয়সিদের এমন পরিবেশে লালন পালন করা দরকার যাতে তাদের মন সততার পক্ষে অম্তর্ভুক্তিমূলক থাকে।’
উল্লেখ্য, বিষয়টি সামনে আসে যখন পারভিন শেখের পোস্ট নিয়ে অর্থাৎ প্যালেস্তাইন এবং আতঙ্কবাদি দল হামাসের পোস্ট নিয়ে একটি লোকাল নিউজ পোর্টালে খবর করা হয়। সেই খবরের ওপর ভিত্তি করেই প্রথমে পারভিনকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি সেই কথা তিনি মানতে রাজি হননি। তার কথায় এই স্কুলের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন, এখন কেন পদত্যাগ করবেন। এরপর আলোচনা চলতে থাকে, তারপর সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই তিনি জানতে পারেন যে, তাকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই হামাস সমর্থনকারী শিক্ষিকা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।