বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC) মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল শুভ্রা ঘড়ুই (Shuvra Ghorui)। বর্তমানে বাংলার কোটি কোটি মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপি (BJP) এবং অন্যান্য একাধিক রাজনৈতিক দলের নজরেও এসে গিয়েছেন আমতলার এই বাসিন্দা। তবে একটি প্রশ্ন গতকাল থেকেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে যে, আচমকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো কেন ছুড়তে গেলেন শুভ্রা? এদিন অবশেষে স্ত্রীয়ের এহেন কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তাঁর স্বামী সমীর ঘড়ুই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ অর্থ এবং সোনা গয়না পাওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভ জন্মেছে বহু মানুষের মধ্যে। বর্তমানে ইডি হেফাজতে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে মানুষের সে সকল ক্ষোভের দেখা মিলেছে। একইভাবে গতকাল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দেখা যায় ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে।
উল্লেখ্য, গতকাল ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে আসা হয় পার্থ-অর্পিতাকে এবং সেই সময় আচমকাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে বসেন এক মহিলা। যদিও সেটি তার গাড়িতে লেগে পড়ে যায়, তবে এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভ্রা জানান, “জুতোটা যদি ওর টাকে লাগতো, তাহলে শাস্তি পেতাম।”
এদিন অবশ্য এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্ত্রীয়ের ‘মানসিক চাপের’ বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরে তাঁর স্বামী সমীরবাবু জানান, “আমাদের স্বপ্ন মেয়েকে নার্সিং পড়ানো। তবে এর জন্য ৭ লাখ টাকা দরকার আর আমাদের এত টাকাও নেই যে, সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।” সূত্রের খবর, সমীরবাবুর মাসিক বেতন মোটে ১২ হাজার টাকা। সেই সূত্র ধরেই তিনি জানান, “কিভাবে মেয়েকে নার্সিং কলেজে ভর্তি করানো হবে, সেই নিয়ে স্ত্রী সবসময় চিন্তায় থাকে। ও মাঝেমধ্যে বলতো যে, সাধারণ মানুষ যখন বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতে পারছে না, তখন নেতারা বড় বড় গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার মনে হয়, সেই রাগ থেকেই ও এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।”
গতকাল জুতো ছোড়ার ঘটনায় অবশ্য শুভ্রা জানান, “ওদের (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) কোটি কোটি টাকা রয়েছে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। একাধিক দুর্নীতি করে বসে আছে, তা সত্ত্বেও আবার বড় গাড়ি নিয়ে আসছে আর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করে চলে যাচ্ছে। এতে আমাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা চুরি করে আবার ফুর্তি করতে আসছে। এতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। সেই কারণেই আমি জুতো ছুড়েছি। তবে যদি জুতোটা ওর টাকে লাগতো, তবে শাস্তি পেতাম।”