বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঘটা করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংসদ অভিনেতা দেব (Dev)। সম্প্রতি এমনি অভিযোগে সোচ্চার হলেন হুগলির বাসিন্দা চন্দ্রিনী চট্টোপাধ্যায়। বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কোনো বেসরকারি হাসপাতালে এর সুবিধা না পাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কমেন্ট করে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন দেব। সে সাহায্য এখনো এসে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ চন্দ্রিনীর।
হুগলির ধনিয়াখালির বাসিন্দা চন্দ্রিনী কন্ট্রাকচুয়াল কাজ করেন। ২০১৯ সালে নিজের মাকে হারিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে আবারো বিপর্যয় নেমে আসে তাঁর জীবনে। স্ট্রোক হয় তাঁর বাবার। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
মা প্রয়াত হওয়ার পর আপন বলতে বাবাই রয়েছে চন্দ্রিনীর। তাই তাঁকে সুস্থ করতে কোনো চেষ্টাই বাকি রাখছেন না তিনি। বাবাকে নিয়ে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তার কোনো সুবিধাই পাননি বলে অভিযোগ চন্দ্রিনীর। সব হাসপাতালেই বলা হয়েছে, বেড খালি নেই।
এমতাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনাটা জানিয়েছিলেন চন্দ্রিনী। তাঁর পোস্টে দেবের এক অনুরাগী অভিনেতাকে মেনশন করলে তিনি নিজেই কমেন্ট করেছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁর টিমের তরফে যোগাযোগ করা হবে। কিন্তু আশ্বাসই সার। সংবাদ মাধ্যমকে চন্দ্রিনী জানান, দেবের টিমের তরফে এক ভদ্রলোক যোগাযোগ করেছিলেন বটে। কিন্তু তাঁর বাবা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন শুনে আর কোনো ফোন আসেনি।
এদিকে চন্দ্রিনীর দাবি, সরকারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসাই হচ্ছে না তাঁর বাবার। উপরন্তু দেব কমেন্ট করে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আগে যে একটু আধটু সাহায্য তিনি পাচ্ছিলেন বিভিন্ন জায়গা থেকে সেগুলোও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেবের থেকে নাকি সাহায্য পাচ্ছেন তিনি, এমনটা রটে গিয়েছে। ফলে কার্যত অকূল পাথারে পড়েছেন চন্দ্রিনী। বাবাকে সুস্থ করে তুলতে চান, কাতর আর্জি তাঁর।