বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌ থেকে এবার এক আজব মামলা সামনে এলো। সেখানে এক মুসলিম মহিলা তাঁর স্বামীর অত্যাচের অতিষ্ট হয়ে তালাক দেন। মুসলিম মহিলা জানান, সে নিজের স্বামীর সাথে ঘর করতে চায়না, আর সেই জন্য সে স্বামীকে তিন তালাক দিচ্ছে।
পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেশমা নামের ওই মুসলিম মহিলা ২০০৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ ইসলাম ধর্ম মেনে শারিক সিদ্দিকি নামের এক ব্যাক্তির সাথে নিকাহ করেন। এরপর তাঁদের একটি কন্যা সন্তান হয়, যার বয়স ১০ বছর। ওই মুসলিম মহিলা তালাক দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, স্বামী শারিক তাঁকে বারবার অত্যাচার করত। অত্যাচার সহ্য করেও মহিলা তাঁদের সন্তানের জন্য তাঁর স্বামীর সাথে সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিল।
মহিলা জানান, তাঁর স্বামী মারধর করা আর তাঁর উপর অত্যাচার করা দিনের পর দিন বাড়িয়েই চলেছে। আর সেই অত্যাচার সহ্যের বাইরে যাওয়ার জন্যই সে এই সিদ্ধান্ত নেয়। মহিলা জানান, যখন কোন স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছে সন্তুষ্ট থাকেনা, তখন সেই মহিলা কোরান অনুযায়ী তাঁর স্বামীকে খুলা (তালাক) দিতে আপ্রে। উনি বলেন, মহিলারা এই অধিকার প্রয়োগ করে স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, কিছুদিন আগেই বিহারে তিন তালাক মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছিল। অভিযুক্ত ব্যাক্তি পণের জন্য তাঁর স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে তাঁকে তিন তালাক দিয়ে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। তিন তালাক দেওয়া এখনো আইনত অপরাধ। পাটনার পীরবহোর এলাকার এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পণ না দেওয়ার তাঁকে অত্যাচার করা এবং তালাক দেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশের কাছে।