বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্থানে ইউনিসেফের এক মহিলা অফিসারকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর মহিলাটির বডিগার্ডের ওপর। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাকে গ্রেফতার করা হলেও বর্তমানে চুপ করে রয়েছে পাকিস্তান সরকার এবং প্রশাসন। 27 বছর বয়সী এই সুইডিশ মহিলা দু’মাস আগে ইসলামাবাদে এসে ওঠেন। এবং এই কয়েকদিনের মধ্যেই তার জন্য এক বীভৎস ঘটনা অপেক্ষা করে আছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি।
ধর্ষণ মামলায় এখনো পর্যন্ত পাকিস্তান প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বিদেশি মহিলাদের টার্গেট করে যেভাবে একের পর এক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে, তা ক্রমশ অস্বস্তি বাড়িয়েছে পাক সরকারের আর সেই কারণেই তারা চুপ করে রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, সুইডিশ নাগরিক এই মহিলা গত মার্চ মাসে ইসলামাবাদে আসেন কাজের সূত্রে। গত বুধবার তাঁর সাথে ঘটে যায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা।
নির্যাতিতা জানান, “গত বুধবার রাতে আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। তবে একটু রাত হতেই কিছু শব্দ শুনতে পাই। তবে ঘর অন্ধকার থাকার কারণে কাউকে দেখতে পাইনি আর এর উপরে আচমকা একজন এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে মুখ চেপে ধরে। এরপর সে আমাকে ধর্ষণ করে। আমি সেই সময়ে হাত-পা ছুঁড়লেও কিছু করতে পারিনা। এরপর আমি তার মুখ দেখতে পাই, ধর্ষক আমার বডিগার্ড।”
সূত্রের খবর, বর্তমানে অভিযোগ পাওয়ার পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কেন সে ধর্ষণ করেছে কিংবা এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য সামনে উঠে আসেনি। আসলে গত বছর এক ব্রিটিশ মহিলাকেও যৌন নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়। সেই সময় ব্রিটেনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে আর সেই কারণেই বর্তমানে পাকিস্তান সরকার চুপ করে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।