বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত প্রায় একমাস ধরে বাংলার হটস্পট সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে পড়েন সন্দেশখালির মহিলারা। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তার দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধে অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগে জ্বলে ওঠে গোটা এলাকা। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তম ও শিবু। তবে এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। এরই মধ্যে আবারও জনরোষের ছবি উঠে এল সন্দেশখালি সংলগ্ন এলাকা থেকে। বৃহস্পতিবার ফের রাস্তায় নামলেন গ্রামের মহিলারা। সন্দেশখালি, জেলিয়াখালির পর এবার ঝুপখালি থেকেও একই চিত্র। গ্রামবাসীদের অভিযোগের তীর এবার শাহজাহানের ভাই ‘ডাক্তার’ সিরাজউদ্দিনের (Siraj) দিকে।
সন্দেশখালির পর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় বেড়মজুরের ঝুপখালিতে। সবার একই অভিযোগ, বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে সেগুলি থেকে উত্খাত করে দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের। কেউ বলছেন, ‘আমার দোকান নিয়ে নিয়েছে…’, ‘আমার জায়গা কেড়ে নিয়েছে…’, সকলেরই নিশানায় সিরাজ। এলাকায় তিনি ডাক্তার নামেই পরিচিত তিনি।
এদিন এই সিরাজের শাস্তির দাবি জানিয়েই রাস্তায় নেমে পড়েন গ্রামের মহিলারা। এলাকার অন্তত ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমি গ্রামবাসীদের থেকে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ মহিলারা বলছেন, তাদের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়ে তা আবার বিক্রিও করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আর ভেড়ি করতে দেবেন না তারা। এই নিয়েই রাস্তায় নেমে চলে বিক্ষোভ।
এদিন একের পর এক ভেড়ি ভাঙচুর করেন গ্রামবাসীরা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সিরাজের অফিসেও। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় বাহিনী। ডিআইজি বারাসত ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী সন্দেশখালির দিকে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: ‘আসল অপরাধী অধরা, নিরীহ সাংবাদিকদের গ্রেফতার করছেন’, সন্তু পানকে জামিন দিয়ে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
পুলিশকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা। সকলে মিলে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। সিজাজের ফাঁসির দাবিও তোলেন অনেকে। এক মহিলার কথায়, ছোট সন্তানদের নিয়ে কীভাবে দিন কাটাতে হয়েছে, আমরাই জানি। হাতে পায়ে পড়েও জমি ফেরত পাইনি। যখন আদিবাসী গ্রামবাসীদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে পেটানো হয়েছিল, তাদের ওপর দিনের পর দিন অত্যাচার চলেছে তখন কোথায় ছিলেন? পুলিশের উদ্দেশে প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।