বাবলু প্রামাণিক দক্ষিণ 24পরগনা: ডাঙায় বাঘ জলে কুমির প্রতিনিয়ত লড়াই করে সুন্দরবনে অসহায় দরিদ্র মানুষ বেঁচে আছে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ।কর্মক্ষেত্র অভাবে পাড়ি দিচ্ছে কলকাতায় যাতে বাড়িতে বসে কোন কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে তার জন্য গ্রামে গ্রামে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মেয়েদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্য সাফল্য দেখতে পাচ্ছে সুন্দরবন বড় মোল্লাখালি গ্রামের বাসিন্দারা ।বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে গ্রামের মহিলাদের যুবকদের প্রকল্প স্বনির্ভর করতে হাতে খড়ি দিলেন তৎভম মার্কেটিং কোম্পানির উদ্যোগে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনির্ভর দপ্তরের 21হাজার বিজ্ঞানসম্মত ভাবে লাগানো হয়েছে মাশরুম বীজ কিভাবে ছোট থেকে লালন পালন করে বড় করতে হবে কিভাবে কম সময়ে মাশরুম চাষ হবে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বড় মোল্লাখালি গ্রামের মানুষের বিনামূল্যে শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে 300 জনকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এমন এক মহিলা নিজে থেকে অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হবে সুন্দরবন অঞ্চলের ।
মমতাময়ী স্বনির্ভর দলের সভানেত্রী প্রভাতী মন্ডল “জানিয়েছে এখনো মেয়েদের স্বাধীন বলা হলে ওরা পরাধীন তাদের স্বাধীন করতে নিজের আত্মিক রুজি রোজগারের জন্য সরকারিভাবে এই উদ্যোগ আমরাই উদ্যোগে খুশি “।এই প্রসঙ্গে সুন্দরবনের মানুষের কাছে অফুরন্ত কিছু পাওয়া।সারাদিন আমরা মাঠে ঘাটে চাষ করি যেটুকু অর্থ পায় ঠিকঠাকমতো সংসার চালাতে পারি না তার সঙ্গে যদি এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংসারে উপকৃত হবে। যাদের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সুন্দর বন মানুষের কাছে মাশরুম চাষ তুলে ধরেছেন তিনি হলেন “নিমাই চাঁদ অধিকারী ,হরিদাস সরদার,রতন অধিকারী ও শিব শঙ্কর পান্ডে “আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি যাতে দরিদ্র অসহায় মানুষ তারা নিজেদের রোজগার নিজেরাই করতে পারে এবং তাদের সংসার কে স্বাবলম্বী করতে পারে। মহিলাও পুরুষদের স্বনির্ভর করতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি তাই ভবিষ্যতে প্রতিটা গ্রামে গ্রামে গিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনার চেষ্টা করছি এবং গ্রামকে উন্নত করতে গেলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সফল হতে হবে।
“প্রধানমন্ত্রী “কৌশল বিকাশ যোজনা মাশরুম চাষের গ্রামের মহিলাদের কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে সুন্দরবন বড় মোল্লাখালি।
সম্পর্কিত খবর