অ্যাথেন্স অলিম্পিকসে ভারতের হয়ে জিতেছিলেন মেডেল, এখন সিঙাড়া বানিয়ে সংসার চালাচ্ছেন সীতা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অ্যাথেন্সে আয়োজিত ২০১১ স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড গেমস-এর কথা ক্রীড়াপ্রেমীরা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি। সেই স্পেশাল বা বিশেষ অলিম্পিকের মূল ধারণা হল, যে যথাযথ অনুপ্রেরণা এবং নির্দেশনা সহ, সামান্য শারীরিকভাবে পিছিয়ে থাকা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত বা দলগত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, উপভোগ এবং উপকৃত করতে পারা। সেই বিশেষ অলিম্পিকে ভারতকে পদক এনে দেওয়া এক ভারতীয় ক্রীড়াবিদকে নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।

অ্যাথেন্স অলিম্পিক ২০১১-এ দেশের হয়ে পদক জয়ী ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ছিলেন রেওয়ার বাসিন্দা সীতা সাহু। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও, সীতা নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন এবং বিশেষ অলিম্পিকে দেশের জন্য দুটি ব্রোঞ্জ পদক এনেছিলেন। সীতা অ্যাথলেটিক্সের ২০০ এবং ১৬০০ মিটার দৌড়ে ভারতের হয়ে পদক জিতেছিলেন।

Athletics

 

সেই সময় ভারতে ফিরে আসার পর সীতাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে বরণ করা হয়েছিল। তাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাহায্যের ঘোষণাও দেওয়া হয়,যার কোনওটাই পূরণ করা হয়নি। তাই দেশের হয়ে পদক জয়ী সীতা আজ সিঙাড়া বিক্রি করতে বাধ্য হন। তার মা এবং ভাইকে বাড়ির ভাত জোগাতে এভাবেই সাহায্য করেন তিনি। আসলে সীতা খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠেএসেছেন। কোনওভাবে, তার পরিবার অর্থ সংগ্রহ করে তাকে অ্যাথেন্সে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং সীতাও প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন।

সীতার বাবা যখন জীবিত ছিলেন, তখন তাদের সংসারে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। সীতার বাবার মৃত্যুর পর সীতার জীবন বদলে যায়। খেলার সাথে তার সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাকে তার স্বপ্নগুলি ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয়েছিল। এখন সীতা তার ভাই এবং মাকে সাহায্য করার জন্য বাড়িতে সিঙাড়া তৈরি করেন। দুর্ভাগ্যবশত, এখন কেউ তার কোনও খবর নেন না। দেশকে গর্বিত করা ক্রীড়াবিদ আজ প্রচারের আলোর থেকে বহুদূরে দিন কাটান।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর