বাংলাহান্ট ডেস্ক : একমাত্র প্রেমই ছিল যার ভরসায় বদলেছে আইন কানুন পর্যন্ত। ভালোবাসার পথে লিঙ্গের কাঁটাতার টপকে মানুষ বেছে নিয়েছে নিজের পড়শীকে। তবে যদি সেই পড়শী সত্তিকারের আরশিনগরের হয়, অর্থাৎ যে মানুষটিকে আপনি প্রতিনিয়ত দেখেন আয়নার ওপারে। ভালোবাসার বিজ্ঞানে আরো একটা অধ্যায় নিজগামিতা বা সোলোগ্যামি। মুদ্রার যেমন দুটি মুখ থাকে, কেমন যেকোনো আসন্ন পরিবর্তনের সাথে সাম্যবস্থা আনতে সেই দুটি মুখকেই ফেস করতে হয়। সোলোগ্যমি যেখানে একাধারে কুরোবে অসংখ্য মানুষের হাততালি, অন্যধারা নিন্দার বন্যা বইবে পায়ের নিচ দিয়ে।
বিবাহের অর্থ বিশেষভাবে বহন করার সঙ্গে আধুনিক চিন্তাভাবনার আগেও যেটি আসে সেটি হল সমাজ এবং সেই সমাজকে চালনাকারী শক্তি তথা ধর্ম এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি। তার একটি প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখা গেল বিজেপি নেত্রীর কথায়। বিজেপি নেত্রী সরাসরি ছুঁড়ে দিলেন হুমকি, নিজেই নিজেকে বিয়ে করার স্বাধীনতা নেই হিন্দু ধর্মে। স্পষ্ট মন্তব্য করলেন ধর্মের প্রতিনিধি হয়ে।
ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায়, শিরোনামে এসেছেন গুজরাতের বাসিন্দা ২৪ বছরের তরুণী ক্ষমা বিন্দু। সে চেয়েছে নিজেকে বিয়ে করতে, অন্য কোন মানুষকে সুযোগ না দিয়ে, নিজের আরশিতেই সেরে ফেলতে চেয়েছেন শুভদৃষ্টি। এমন বিরল দৃশ্য পৃথিবীতে কয়েকটি থাকলেও এদেশে প্রথম। তাই এই পরিবর্তনের টাল সামলাতে সময় লাগবে স্বাভাবিক, তবে সরাসরি হুমকি দেওয়ার ঘটনা মোটেই স্বাভাবিক বলে মনে করা যায় না।
বিজেপি নেত্রী সুনিতা শুক্ল, সরাসরি এ বিষয়ে মন্তব্য পেশ করেন, এ ধরনের ধর্ম নিয়ে কাটাছেঁড়া মোটেই সুবিধার নয়, এবং এমন মানসিকতার প্রচলন সরাসরি প্রভাব ফেলবে হিন্দুদের জনসংখ্যায় বলেই মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১১ জুন মন্দিরে গিয়ে কাজ ছাড়বেন বলে জানিয়েছিলেন ক্ষমা। নেত্রীর মন্তব্য, হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানে এমন ধর্ম নিয়ে কাটাছেড়া মোটেই বরদাস্ত করা হবে না, এমন হিন্দুবিরোধী আচরণকে প্রশ্রয় না দেয়াই উচিত।
তবে ক্ষমা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্তে তার বাড়ির লোকের কোন অমত নেই। উদ্দেশ্য এক, সমাজকে প্রমাণ করা, যে কি একটি নারী স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোন পুরুষের প্রতিচ্ছবি নিয়ে বাঁচতে চান না তিনি। আপাতত এই সময়ে, নেত্রীর হুমকিকে খুব একটা পরোয়া করছেন না ক্ষমা, এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য পেশ করেন নি তিনি।