বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাম্প্রতিক অতীতে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল ঘাটালবাসী। এমনকি সামান্য বৃষ্টিতেও হাঁটুজল জমে যায় ঘাটালে, চরম দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা প্রকাশ পেলেও নানান জটিলতার কারণে থমকে ছিল এই প্ল্যানের কাজ। এবার বাস্তবের পথে আরো এক ধাপ এগোল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের ভিত্তিতে এক ধাপ অগ্রসর হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য দ্বিতীয় দফার আর্থিক অনুমোদন মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। এই প্ল্যানের শর্তাবলী অনুযায়ী প্রকল্পের জন্য ৬০% খরচ দেবে কেন্দ্র এবং ৪০% খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। এই প্রকার চিঠি পাওয়ার পর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য তৎপর হয়েছে নবান্ন। ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’-এর অধীনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে নবান্ন।
এই চুক্তির শর্ত ছিল, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য ৬০% টাকা বরাদ্দ করা হবে কেন্দ্র থেকে এবং ৪০% টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এই টাকা অনুমোদন করছিল না কেন্দ্রীয় সরকার, বারবার এমন অভিযোগ সামনে এসেছে নবান্নের তরফ থেকে। অবশেষে গত শনিবার এই মেগা প্রজেক্ট এর জন্য অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র মারফত জানা গেছে, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য ১২০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন কেন্দ্র।
বিগত কয়েক দশক ধরে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি বর্ষাকালে রীতিমতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ঘাটালের বন্যা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় প্রশাসনের জন্য। গত বছর বন্যার দুর্বিষহ পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি সেদিনই কেন্দ্রের কাছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য অর্থ চেয়ে পুনরায় আবেদন করেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর বরাদ্দের জন্য বহুবার নীতি আয়োগ ও জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সাথে দেখা করেন রাজ্যের সংসদ ও মন্ত্রীরা। সেই দলের সদস্য ছিলেন ঘাটালের বিধায়ক তথা অভিনেতা দেবও। এর আগেও লোকসভায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দাবী করে বক্তব্য রাখেন দেব। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় তরফ থেকে সাহায্য না আসলে একার পক্ষে রাজ্যের এই প্রকল্প বাস্তব করা সম্ভব নয়। অবশেষে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন ঘাটালবাসী।