বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে (Bangladesh) সরকার উৎখাতের পর রীতিমত করুণ অবস্থা ওপার বাংলায়। নতুন সরকার আসার পরও খুব একটা উন্নতি হয়নি। আন্দোলনের আগুন স্থিত হলেও ওখানে লেগেছে আকাল সংকট। বাজারে রীতিমতো অগ্নিমূল্য সমস্ত কিছু। কিছু কিনতে গেলেই ভাবতে হচ্ছে দুবার। ধরুন যে জিনিসের দাম ২০ টাকা তা কিন্তু হচ্ছে ৪০ টাকায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষদের পকেটে টান ধরেছে। যার ফলে অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করার জন্য সকলেই সুর চড়াচ্ছেন। কিন্তু এদিকে অর্থনীতিবিদ তথা অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনূসের এই বিষয় কোন রকমের নজর নেই বলে অভিযোগ উঠছে বারংবার। ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও এই নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি দেখে চিন্তাগ্রস্ত বিশ্বব্যাংকও।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংক কি জানিয়েছে?
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকও উদ্বিগ্ন। যেখানে সরকার বদলের পর উন্নতি হওয়ার কথা সেখানে দুর্ভোগ দেখা দিচ্ছে বাংলাদেশের দুয়ারে দুয়ারে। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য যা যা করা দরকার তা করছেন না। বরং তিনি রাজনীতি দিয়ে ব্যস্ত এমনি অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কখনো, ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধ করছেন তো, আবার কখনো জাতীয় দিবস বাতিল করতে ব্যস্ত। সরকারের এমন পদক্ষেপ দেখে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাঙ্কও।
আরোও পড়ুন : প্রতিদিন স্নানের আগে নাভিতে এক ফোঁটা দিন ঘি! ম্যাজিকের মত কাজ করে শরীরে, পালায় সব রোগ, জীবাণু!
এই নিয়ে ‘বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রকাশ করেছে। এমনকি সেই সাথে নির্বাচন নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা আগামী দিনে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্কটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের উচ্চ পর্যায়ের অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা জানিয়েছেন, চলতি বছরে খাদ্যের দাম ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সেই তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশ। আর এভাবেই প্রতিমাসে অর্থনৈতিক অবস্থা হ্রাস পেতে থাকলে আগামী দিনে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে দাঁড়াবে তা বলার অপেক্ষায় থাকে না।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন – মূল্যবৃদ্ধি আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা ও খেলাপি ঋণের চাপ আগামী দিনগুলিতে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে (Bangladesh) খেলাপি ঋণ এই মুহূর্তে অনেক বেশি। বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে বাংলাদেশের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ক্রমশ কমছে। এবং জিডিপি গ্রোথও অনেক নীচে। আর এই গ্রোথ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই সময় লেগে যাবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
তাই বিশ্ব ব্যাংক পরামর্শ দিচ্ছে, সমস্যা থেকে বাঁচতে আর্থিক খাতের পাশাপাশি সবার আগে প্রয়োজন রাজনৈতিক অস্থিরতা আয়ত্তে আনা। সেই সাথে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিক্ষার মান বহুগুণ বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয় একই সাথে বাংলাদেশে নির্বাচনও হওয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতে পোশাক শিল্প থেকে শুরু করে, বিভিন্ন বাণিজ্য ব্যবস্থায় ধস নামতে শুরু করেছে। তাই এই বিষয়গুলি সবার আগে নজরে রাখা উচিত।