বাংলা হান্ট ডেস্ক : খাদ্য তালিকায় ভারতের নাম নিয়ে ইতিমধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলো। ভারতের অবস্থান খাদ্যতালিকায় এত নিচে নেমে যাবে, পাকিস্তান-শ্রীলংকা র কাছে ও হার হয়ে যাবে তা ভাবতে পারেনি আপামর ভারতবাসী। এদিকে আর্থিক পরিস্থিতির বেহাল দশা নিয়ে অনেক সময় চা টেবিল থেকে আরম্ভ করে ছোটখাটো মোড়গুলোতে আলোচনা বিস্তার লাভ করছে অনেকটাই। এর মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টি নামল সরকারের অন্দরমহলে।
বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে, বিগত ১৫ বছরে ৭ শতাংশের বেশি উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। পাশাপাশি, ১৯৯০ সালের পর থেকে সরকার দরিদ্র দূর করতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে অনেক বেশি সফল হয়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত দেশের চরম দারিদ্র সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্কের আশা আর মাত্র ১ দশকের মধ্যে চরম দারিদ্র পুরোপুরি দূর করতে সক্ষম হবে ভারত।
বিশ্বব্যাংকের করা এই মন্তব্যে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে মোদি। তবে কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মানুষের কর্মরত অবস্থায় অনেকটাই ঘাটতি পূরণ করতে সরকারকে যে আরও অনেক মেহনত করতে হবে তা বর্তমান পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে। এবং সে বিষয়ে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে ভারতকে। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া সংস্থাগুলো এবং সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর হাতে যাতে বেশি পরিমাণ টাকা পৌঁছায় এবং তারা যেন অর্থনীতির হাল-হকিকত কে আরেকটু মজবুত করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটা স্বস্তির জায়গা দিতে পারে সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে সরকারকে।