বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাকে (West Bengal) বিপুল আর্থিক অনুদান বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank)। খরা, অনাবৃষ্টির হাত থেকে ফসল ও চাষ বাঁচাতে ক্ষুদ্র সেচের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে রাজ্যকে দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত বিশ্ব ব্যাঙ্ক। জানা যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই এই ঋণ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে বিশ্বব্যাঙ্ক।
পশ্চিমাঞ্চলের পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এই সব জেলার বেশ কিছুটা অংশ একদিকে যেমন খরা প্রবণ অন্যদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থানের ফলে সেচের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এই সমস্ত সমস্যা দূর করতে, এবং জমি গুলিকে চাষযোগ্য করে তুলতে ঋণ দিতে আগ্রহী বিশ্বব্যাঙ্ক।
এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক ‘সুখা’ এলাকার বৃষ্টি ও ভূগর্ভের জল সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি কম জল দিয়ে কিভাবে চাষ করা সম্ভব সেই বিষয়েও উৎসাহিত করা এর মূল লক্ষ্য। মূলত খরা প্রবণ এলাকায় চাষের সুযোগ বৃদ্ধি করতেই রাজ্যকে ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
একদিকে, উত্তরের দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে সংস্কারের অভাবে জমির জল ধারন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বিপুল পরিমানে চাষের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুন্দরবন ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমায় লবনাক্ত জলের কারণে চাষ করা দিনদিন আরও সমস্যার হয়ে উঠছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো একাধিক জেলায় সেচের জলের অভাব না থাকলেও জল অপচয় বন্ধ করতে ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে।
এই সকল সমস্যা সমাধান করতেই আগামী ছ’বছরে ধরে বিশ্বব্যাঙ্কের এই প্রকল্প চলবে। এর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলায় পুকুর খনন করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, বিশেষ টিউবওয়েল বসিয়ে সেচের জলের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি লবণাক্ত এলাকায় খাল কেটে মিষ্টি জলের ব্যবস্থা করা হবে সেচের জন্য পাহাড়ে ঝোরাগুলি সংস্কার ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জলের যোগান মেটানোর পাশাপাশি কম জলে কীভাবে চাষ করা সম্ভব সেই প্রযুক্তির উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চাষিদের যাতে তারা কম জল ব্যবহার করে চাষ করতে আগ্রহ পান। পঞ্চায়েত ভোটের পরেই এই নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে রাজ্য।