বাংলা হান্ট ডেস্ক : এই নিয়ে পরপর চার বছর! বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর (Scientist) তালিকায় ফের একবার জায়গা করে নিলেন বাংলার পুত্র ড. চিন্ময় চক্রবর্তী। সেই সাথে বাংলার ইতিহাসে গড়লেন নজিরগড়া ইতিহাস। ২০২৩ এর পর ফের ২০২৪ এ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত সেরা বিজ্ঞানী (Scientist) তালিকায় নিজের নাম করে নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং এর ভূমিপুত্র চিন্ময় চক্রবর্তী। বিজ্ঞানীবাবুর (Scientist) এমন কীর্তিতে গর্বে বুক ফুলে গেছে ভারতবাসীর।
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের (Scientist) তালিকায় বাঙালি যুবক
জানা যাচ্ছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ধৃতি, এইচ- ইনডেক্স, এইচএম-ইনডেক্স সহ লেখকত্ব সবকিছুর উপর ভিত্তি করে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ২% বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রকাশিত করেছেন। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ পর পর তিন বছরের পর আরো একবার সেই তালিকায় নাম খোদাই করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, চিন্ময় হচ্ছেন আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তনী ছাত্র।
বর্তমানে তিনি ঝাড়খণ্ডের বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে অধ্যাপনা করছেন। চিন্ময় চক্রবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার পানিথর গ্রামের বাসিন্দা। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে,, ১৯৯৯ সালে পিংলার কড়কাই বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিকে দারুন ফলাফল করে ভবিষ্যতের দিকে একধাপ এগিয়ে যান। এরপর ২০০১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ঠিক করেন ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা করবেন। আর পরিকল্পনা মাফিক তিনি এই বিষয়ের উপর বিটেক করেন।
আরও পড়ুন : আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার! হাসপাতালে ভর্তি টালা থানার প্রাক্তন ওসি! আচমকা কী হল?
কলেজ পাশের পর টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর রিসার্চ করেন খড়গপুর আইআইটি থেকে। এরপর পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য পাড়ি দেন বিদেশে। ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ পিয়াও থেকে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রী নেন। আর আজ তার পরিশ্রম তাকে এখানে নিয়ে এসেছে। তবে চিন্ময় বাবুর কৃতিত্ব এখানেই থেমে নেই। তিনি এই বছর আগস্ট মাসে বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির তরফ থেকে “বেস্ট ফ্যাকাল্টি অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছেন।
এখানেই শেষ নয় তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি IEE Indian Council’s Student Manership প্রোগ্রামের জন্যও নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, Scholar GPS-র তথ্য অনুযায়ী আলসার ইমেজ এনালাইসিসের জন্য তিনি সারাদেশে তথা বিশ্বে প্রথম হয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে বিজ্ঞানী বাবু ব্যস্ত টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে কিভাবে দেশ-বিদেশের হাসপাতাল গুলি থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। এছাড়াও তিনি লউসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি আমেরিকা, দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডা আমেরিকা, আইআইটি খড়গপুর এবং হোসেই ইউনিভার্সিটিতেও বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।