বাংলা হান্ট ডেস্ক : ব্যাগের বোঝা বড্ড ভারী,বওয়া যায়না মোটে। কমবেশি বাচ্ছাদের এখন এই কথাই মুখে ঠোটে।একটা স্কুলব্যাগের কত দাম নিয়ে ভাবতে গেলে দেখা যাবে দুশো, পাঁচশো, হাজার, দু’ হাজার এর বেশী অঙ্ক বিশেষ এগোয়না। কিন্তু আজিজপুরের ১২ বছরের শাহিদের ব্যাগের দাম লক্ষ, কোটি, অর্বুদ, নির্বুদ হতে পারে অর্থাৎ অমূল্য বলাই ভালো।আসলে সংখ্যায় এর দাম মাপা যাবে না। ‘অমূল্য’ বোধহয় একেই বলে। ছেলেটি যে সরকারি স্কুলে পড়ে সেখানের শিক্ষিকা মধুলিকা চৌধরি তাঁর ফেসবুকে অত্যন্ত মনছোঁয়া এক পোস্ট করেছে।
তিনি বলেছেন ১২ বছরের শাহিদ খুবই দুরন্ত। সে স্কুলে একদিন না এলেই ফাঁকাফাঁকা মনে হয় বলে লিখেছেন মধুলিকা।কিন্তু কয়েকদিন স্কুলে সে না আশায় তিনি শাহিদের বোনকে জিজ্ঞাসা করেন শাহিদ কেন স্কুলে আসছে না। বাচ্চা মেয়েটি জবাবে বলে, শাহিদের স্কুলব্যাগ ছিঁড়ে গেছে।তবে পরের দিনই নতুন ব্যাগ নিয়ে স্কুলে হাজির হয় শাহিদ। মধুলিকা কপট রাগ দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ব্যাগ ছিঁড়েছে তো আমায় বলোনি কেন?’ জবাবে সে তার নতুন ব্যাগ দেখায়।
শিক্ষিকা মধুলিকা ব্যাগের দাম জিজ্ঞাসা করলে শাহিদ বলে, ‘৩২০ টাকা বলছিল, ২৭০ টাকা দিয়ে কিনেছি।’ শিক্ষিকাটি জানতেন শাহিদের পরিবারের এত টাকা দিয়ে ব্যাগ কিনে দেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই জিজ্ঞাসা করেন এত টাকা সে পেল কোথায়। শাহিদ বলে, ‘ধান গাছ লাগানোর মজুরি করে পেয়েছি।’ শাহিদের উত্তরে স্তব্ধ হয়ে যান মঞ্জুলিকা।আজিজপুরের শাহিদ কি আমাদের অনেককিছু দেখিয়ে দিয়ে গেল,যা আমরা হয়ত সবাই দেখেও দেখিনা।ভালো থাক সুস্থ থাক এবং স্বপ্নপূরণের জন্য প্রতিটি পদক্ষেপ উপভোগ করুক শুধু এই একান্ত কাম্য সভ্য সমাজ তাকে দিতে পারে।