বিশ্বকাপের ডাইরি :১
অজয় রায়, বাংলা hunt :একদম ভোরের দিকে আচমকা ঘুম ভেঙে গেলো।মোবাইল ডেটা অন করতেই একের পর এক নোটিফিকেশন।চোখ পড়লো ইন্সটাগ্রামের কিছু নোটিফিকেশনে, নাম গুলো গোটা দেশের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে পরিচিত।তিন নম্বর বিশ্বকাপ দেশে নিয়ে ফিরতে ” টিম ইন্ডিয়া” উপস্থিত মুম্বাই এয়ারপোর্টে।দেশের ব্লেজার গায়ে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী দেখাচ্ছিলো বিরাটদের ।
২০১১ তে ওয়াংখেড়েতে ৮৩’র স্মৃতি ফিরিয়েছিল কুলুশেখরাকে মারা ধোনির ছয়।গোটা দেশ মেতে উঠেছিলো দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে।সেইদিনের জয় কোথাও যেন ২০০৩ এর বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ক্ষতকে নিমেষে মিটিয়ে দিয়েছিল।
ধোনির দলে সেইবার প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার স্বাদ পেয়েছিল বিরাট, তখনও দলের মানচিত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি কোহলি, তবে প্রতিশ্রুতিমান যে ছিলেন তার আভাস পাওয়া গেছিলো।সেই জয়ের বছর আটেক বাদে আজ দলের অধিনায়ক তিনি।আর এটাই আবার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে ধোনির।বিরাট কি পারবে ধোনি’র কেরিয়ারের শেষের আগে আরও একবার বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখার সুযোগ করে দিতে ?
ইতিমধ্যে প্রবল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে বিরাটদের বিশ্বকাপ জয়ের।রোহিত, শিখর, কোহলি,রাহুল সম্বলিত ব্যাটিং লাইন আপ, বোলিংয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম পেসার বুমরাহ, কুলদীপ , চাহাল, শামী।এক্স – ফ্যাক্টর হার্দিক পান্ডিয়া, এবং উইকেটের পিছনে দলের নিঃশব্দ প্রহরী মহেন্দ্র সিং ধোনি।
১৯৮৩ ,২৫ শে জুন লর্ডসের ফাইনালে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ জয়ের হ্যাটট্রিকের বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত গোটা বিশ্বের ক্রিকেট বোদ্ধারা তখন সকলকে চমকে দিয়ে লর্ডসের ব্যালকনিতে কপিলদেবের হাতে প্রুডেনশিয়াল কাপ চমকে দিয়েছিল সকলকে।
২০১৯, এর ১৪ ই জুলাই, ফের আরও একবার লর্ডসে ওয়াল্ড কাপ হাতে দেখতে পাবো কি আমরা? ৩০ শে মে থেকে শুরু হতে চলা ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের মাঠে ১০ দেশের বিশ্বসেরা হওয়ার দৌড়ে সকলকে ছাপিয়ে শেষ অবধি কি ” বিরাটবাহিনী ” র হাতেই কাপ দেখবো আমরা ? উত্তর জানতে এখন শুধুই অপেক্ষা।