বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এই মুহুর্তে হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের (electricity) চাহিদা। একই সাথে কমছে বিশ্বের কয়লা ও তেলের ভান্ডার। একই সাথে প্রথাগত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় দূষনই। এবার এই সব সমস্যা সমাধান করতেই সেন্ট্রাল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমইআরআই), দুর্গাপুর তার আবাসিক কলোনিতে একটি নতুন সৌর গাছের কাঠামো তৈরি করেছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম সৌর গাছ বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
এই ইনস্টিটিউটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, প্রতিটি সোলার ফটোভোলটাইক (পিভি) প্যানেল এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে তাতে সর্বাধিক সুর্যের আলো পড়বে এবং এর নিচে নূন্যতম ছায়া পড়বে। CMERI এর ডিরেক্টর অধ্যাপক হরিশ হিরানী বলেন, “ এই সোলার গাছের ক্ষমতা দৈনিক ভিত্তিতে ১১.৫ kWp(কিলোওয়াট পিক) এর উপরে এবং এটি বছরে ১২,০০০ থেকে ১৪,০০০ ইউনিট গ্রীন পাওয়ার উৎপাদন করতে পারে”। তিনি এও বলেন যে, “আমরা পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি পিভি প্যানেল ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করি ।”
ইনস্টিটিউশনের বক্তব্য অনুসারে, “এখনও অবধি বিশ্বের বৃহত্তম সোলার গাছটি ইউরোপে ছিলো, যা প্রায় 8.6 কিলোওয়াট শক্তি উৎপাদন করে,যা এই সোলার গাছের চেয়ে যথেষ্ট কম।হিরানী বলেন যে,“ কৃষিক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে এই সোলার গাছ ব্যবহার করা যেতে পারে এবং প্রতিটি সোলার গাছ জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় ১০ থেকে ১২ টন কম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে।”
প্রতিটি সোলার গাছের দাম বরাদ্দ হয়েছে 7.5 লক্ষ টাকা। প্রতিটি সোলার গাছে চব্বিশ ঘন্টা সিসিটিভি নজরদারি, রিয়েল-টাইম আর্দ্রতা, বাতাসের গতিবেগ, বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রেকর্ডিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য আছে।