বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা বিশ্বে QUAD বৈঠক নিয়ে পারদ চড়েছে। ২০০৭ সালে প্রথমবার আধিকারিক ভাবে অস্তিত্বে আসার পর এটাই প্রথম অবসর যখন এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চারটি দেশ ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া আর জাপানের রাষ্ট্রপ্রধানরা এক সঙ্গে মুখোমুখি চর্চা করতে চলেছেন। এর আগে চার দেশের নেতারা আলাদা-আলাদা বা ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের তরফ থেকে ডাকা বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে।
QUAD বৈঠক নিয়ে গোটা বিশ্বের মিডিয়াতেই চর্চা চলছে। আমেরিকার মিডিয়া সংস্থা CNN শুক্রবার QUAD নিয়ে প্রকাশিত একটি খবরে লিখেছে, ‘ ফ্রান্স, AUKUS, নিউক্লিয়ার পাওয়ার সাবমেরিন সব ভুলে যান। আমেরিকার এশিয়াতে প্রভাবের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় ওয়াশিংটনে আসবে।”
আল জাজিরা বলেছেন, QUAD-এ যুক্ত সব দেশের স্বার্থ আলাদা হলেও চিনকে নিয়ে সবাই এক। তাঁরা লেখে, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে QUAD সংগঠনকে এখনও নিজেদের ভিত মজবুত করতে হবে। অনেক বিষয়ে সংগঠনে থাকা দেশগুলির উদ্দেশ্যে আলাদা-আলাদা, কারণ তাঁরা নিজেদের অঞ্চল আর বৈশ্বিক স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু চিনের ইস্যুতে সবাই এক।”
আল জাজিরার আরও লেখে, ‘ভারত দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বেশি মাথা ঘামায় না। কিন্তু এখন তাঁরা নিজেদের জল আর স্থল সীমান্তের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। QUAD-র দেশগুলির মধ্যে ভারতই একমাত্র যাদের সঙ্গে চিনের স্থল সীমান্ত রয়েছে। এরমানে এই যে, আগামী দিনে ভারত QUAD-র সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখবে তা দেখেই এই গ্রুপ আর গোটা অঞ্চলের ভবিষ্যতের নির্ধারণ হবে।”
এছাড়াও ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্জিয়ান, মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ইউএস টুডেও QUAD বৈঠক নিয়ে নিজেদের রায় পেশ করেছে। ইউএস টুডে বলেছে QUAD-র শক্তিশালী হওয়ার পিছনে চিন দায়ী। গার্জিয়ান বলেছে, চিনকে সীমিত রাখার নীতির পাশাপাশি আঞ্চলিক সমর্থনও জোটাবে বাইডেন।