বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে বেড়ে চলা তালিবানের প্রকোপের মধ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গোটা বিশ্বকে আহ্বান করে বলেছেন যে, তাঁরা যেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একজোট থাকে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সুরক্ষা পরিষদের এমার্জেন্সি বৈঠকে নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে একজোট হয়ে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আফগানিস্তানকে জঙ্গি সংগঠনের মঞ্চ বা সুরক্ষিত আস্তানা হিসেবে যেন ব্যবহার না করা হয়। আফগানি মানুষদের আত্মসম্মান অনেক বেশি। ওঁরা কয়েক পুরুষ ধরে যুদ্ধ এবং অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন। ওঁরা আমাদের পূর্ণ সমর্থনের অধিকারি। আগামী কয়েকদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব সব দেখছে। আমরা আফগানিস্তানের মানুষদের এভাবে শেষ হতে দিতে পারি না।
The international community must unite to ensure that #Afghanistan is never again used as a platform or safe haven for terrorist organizations: UN Secretary-General António Guterres at an emergency UNSC meeting on Afghanistan pic.twitter.com/DqvW3JgKWJ
— ANI (@ANI) August 16, 2021
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ আর আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে আহ্বান করছি যে, তাঁরা যেন আফগানিস্তানের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিপদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়ায়। আর মিলেমিশে কাজ করে। বৈশ্বিক জঙ্গিদের দমনের জন্য নিজেদের কাছে থাকা সমস্ত সংসাধনের ব্যবহার করুন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে মার্কিন রাজদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, এই সঙ্কটের সময়ে আফগানিস্তানের মানুষের কাছে সাহায্য না পৌঁছানোয় আমরা চিন্তিত। বিশ্ব খাদ্যশস্য কার্যক্রম অনুযায়ী আফগানিস্তানে পাঠান ৫০০ টন সামগ্রী তালিবানরা কবজা করে নিয়েছে। আবারও সেই সামগ্রী পাঠানোর বন্দোবস্ত করা উচিৎ।
We're deeply concerned that aid is not flowing to people in crisis. As per World Food Programme, over 500 tonnes of aid are currently sitting at border crossings taken over by Taliban. These aid deliveries must resume immediately: US Ambassador to UN, Linda Thomas-Greenfield pic.twitter.com/pRUrneZZGZ
— ANI (@ANI) August 16, 2021
বৈঠকে আফগানিস্তানের রাজদূত তথা স্থায়ী প্রতিনিধি গুলাম এম ইসাকজই বলেন, তালিবানরা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করছে না, যেগুলি তাঁরা দোহা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে করেছিল। দেশের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আমি আজ আফগানিস্তানের কোটি কোটি মানুষ আর লক্ষ লক্ষ বাচ্চা মেয়ে আর মহিলাদের তরফ থেকে বলছি। এই বাচ্চা মেয়েরা খুব শীঘ্রই স্কুলে যাওয়ার অধিকার আর রাজনৈতিক, আর্থিক এবং সামাজিক জীবন খোয়াতে চলেছে।