পৃথিবীর শীতলতম গ্রাম এটি, -৫০ ডিগ্রিতেও স্কুলে যায় পড়ুয়ারা

জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে বাংলায়। বলা বাহুল্য, শীতের দাপুটে ইনিংস শুরু হলেই লেপ-কম্বলের নীচে আশ্রয় নেয় গড়পরতা বাঙালি। কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের পৃথিবীতে এমন এক গ্রাম আছে যেখানে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও স্কুলে যায় পড়ুয়ারা৷ এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে যায় হিমাঙ্কের থেকে ৭১ ধাপ নীচে।

IMG 20201223 135441

রাশিয়ার সাইবেরিয়ার অবস্থিত ওম্যাকন গ্রামটি পৃথিবীর শীতলতম গ্রাম। যা অ্যান্টার্কটিকার বাইরে বিশ্বের শীতলতম স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানে গড় তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ৫০ ডিগ্রি। ১৯২৪ সালে, এই স্থানটির তাপমাত্রা -৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০১৮ এর পরিসংখ্যান অনুসারে, এখানে ৫০০ থেকে ৯০০ লোক বাস করে।

প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে এই অঞ্চলে তুষারপাত নিত্যকার ঘটনা। প্রবল ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই চলে বাসিন্দাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবন৷ -৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকলে এখানে স্কুল খোলা থাকে। তবে তাপমাত্রা তার চেয়ে বেশি নেমে গেলে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। এই অঞ্চলে তাপমাত্রার কারনে অনেক সময় কয়েক মাস পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকে। প্রবল তুষারপাতে গৃহবন্দী হয়ে যায় বাসিন্দারা।

জানুয়ারি মাসে এই অঞ্চলে সূর্য প্রায় সকাল ১০ টার সময় ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে শীতের কারণে মানুষের অবস্থা বিঘ্নিত হয়। অসম্ভব ঠান্ডার কারনে এখানে কোনো চাষ আবাদ হয় না। এখানকার মানুষেরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। এদের খাবারের তালিকায় একেবারে ওপরের দিকেই রয়েছে বল্গা হরিণের মাংস। এছাড়াও এদের খাদ্যতালিকায় মাছও রয়েছে। যা গরমকালে এরা নদী থেকে শিকার করে


সম্পর্কিত খবর