মাংস নয়, পরিবর্তে খেত মন্দিরের প্রসাদ! মৃত্যু হল পৃথিবীর একমাত্র নিরামিষাশী কুমির বাবিয়ার, ভাইরাল ভিডিও

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: “কুমির” (Crocodile) শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে এক মাংসাশী এবং হিংস্র সরীসৃপের কথা মাথায় আসে। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা যে কুমিরটির প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব সে ছিল সম্পূর্ণ “নিরামিষাশী”! হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। তবে, সেই “ঐশ্বরিক” কুমিরটিই এবার প্রাণ হারিয়েছে।

মূলত, “বাবিয়া” নামে পরিচিত ওই কুমিরটিকে সকলেই “ঈশ্বরের দূত” হিসেবে বিবেচিত করতেন। কখনও আমিষ খাওয়ার চেখে দেখেনি সে। এমনকি, পুকুরে বসবাস করা বাবিয়া কখনও পুকুরের মাছেদেরও আক্রমণ করেনি বলে জানা গিয়েছে। তবে, গত রবিবারই মৃত্যু ঘটে তার। আর এই ঘটনার পরেই কেরালার কাসারগড় এলাকার শ্রী আনন্দপদ্মনাভ মন্দিরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কুমিরটির বয়স ছিল প্রায় ৭৫ বছরেরও বেশি। এমনকি, বাবিয়ার মৃত্যু সংবাদ সামনে আসতে তার কিছু ছবিও ভাইরাল হতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এদিকে, কেরালার ওই মন্দিরটির অন্যতম আকর্ষণই ছিল “বাবিয়া”। সর্বোপরি, তাকে ভক্তিও করতেন সবাই। বহু মানুষ ভিড় করতেন বাবিয়ার দেখা পাওয়ার জন্য। যদিও, কুমিরটি কিভাবে ওই পুকুরে এসেছিল বা তার নামকরণই বা কিভাবে হল এই বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেন নি। তবে, বাবিয়া সম্পূর্ণ নিরামিষ খাওয়ার খেত। সকাল বিকেল মন্দিরের পুজোর পর তাকে ভোগ দেওয়া হত।

https://mobile.twitter.com/AdvkShreekanth/status/1579213176708923392

মন্দিরের পুরোহিত নিজের হাতে বাবিয়াকে খাইয়ে দিতেন। পুরোহিত ভোগ নিয়ে পুকুরের ঘাটে এসে দাঁড়ালেই বাবিয়া তাঁর কাছে এসে শান্তভাবে তা খেয়ে নিত। কখনোই সে কারুর ক্ষতি করে নি। এমতাবস্থায়, ভক্তদের বিশ্বাস ছিল যে, বাবিয়া প্রভু অনন্তপদ্মনাভকে পাহারা দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে মনে করা হয় যে, অনন্তপুরা মন্দিরটি কেরালার একমাত্র মন্দির যেটি হ্রদের মাঝখানে নির্মিত রয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বাস করা হয়, অনন্তপদ্মনাভস্বামী হল তিরুবনন্তপুরমের শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দিরের উৎসস্থল। আর এখানেই দেখা যেত বাবিয়াকে। এদিকে, ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বাবিয়ার মৃতদেহের সামনে এসে তাকে ভক্তিভরে প্রণাম করছেন ভক্তরা।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X