নিয়ম বিধি মেনে করুণ মাতা লক্ষ্মীর পূজা, সংসারে কখনই সুখের অভাব ঘটবে না

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লক্ষ্মী (Laxmi) হলেন একজন আরাধ্যা হিন্দু দেবী। ভগবান বিষ্ণু পত্নী এই দেবী হলেন ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। দেবীর বাহন রূপে আমরা প্যাঁচাকে দেখতে পাই। হিন্দু ধর্ম ছাড়াও জৈন স্মারকগুলিতেও লক্ষ্মী দেবীর ছবি দেখা যায়। তবে এই দেবী হিন্দুর গৃহেই বেশি পূজিত হন। বিশেষত দীপাবলির দিন অলক্ষ্মী পূজা ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা প্রায় প্রত্যেক ঘরেই পালন করা হয়।

image 78

লক্ষ্মী পূজার সময় কিছু কিছু নিয়ম বিধি মেনে চললে, সংসারে কখনই সুখের অভাব ঘটে না।

গোসেবা- পুরাণ মতে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার লক্ষ্মী পূজার তিথি পড়লে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যদি প্রতি শুক্রবার করে পরমান্ন বা মিষ্ট অন্ন দিয়ে গোসেবা করা হয়, তাহলে লক্ষ্মী দেবীর আশির্বাদ সর্বদা সেই ব্যক্তির উপর বিরাজ করবে।

255

কড়ি এবং শঙ্খ- ঠাকুরঘরে বা ঠাকুরের সিংহাসনে যদি কড়ি রাখা হয়, তাহলে গৃহস্তের কল্যাণ হয়।লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র- পরপর ১২ দিন সমস্ত ভক্তি উজার করে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে অবশ্যই ঋণমুক্তি ঘটবে।

tulsi

তুলসী বৃক্ষ- মা লক্ষ্মীর অপর রূপ হিসাবে বাড়ির তুলসী বৃক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ জবালালে মা সন্তুষ্ট হন।

গায়ত্রী মন্ত্র- প্রতিদিন স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে পদ্মবীজের মালা ব্যবহার করে ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে, মাতা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।

Bansuri bamboo flute 23inch

বাঁশি- বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের অলঙ্কার স্বরূপ বাঁশি, যা লক্ষ্মীর অত্যন্ত প্রিয় বস্তু। এই বাঁশি সিল্কের কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা লক্ষ্মী সেই ব্যক্তির উপর সদা প্রসন্ন থাকেন।
লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র- পরপর ১২ দিন সমস্ত ভক্তি উজার করে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে অবশ্যই ঋণমুক্তি ঘটবে।
দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ- একটি রুপোর পাত্র অথবা মাটির পাত্রে লাল, সাদা বা হলুদ রংয়ের একটি পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে করে মা লক্ষ্মীর দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ রাখলে, ওই শঙ্খের মধ্য দিয়েই মায়ের আশির্বাদ নির্গত হয়।

DSC0152claylamp700
মাটির প্রদীপ- আবার প্রতি শুক্রবার করে পদ্মমূল থেকে তৈরি নয়টি সলতে বানিয়ে একটি মাটির প্রদীপে জ্বালিয়ে দিয়ে তা মা লক্ষ্মীর সামনে রাখলে, গৃহে প্রাচুর্যের সমাহার ঘটে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর