বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুরাণ মতে শোনা যায়, শনিদেবের পিতা হলেন সূর্যদেব (Surya Deb)। এবং এর সাথে তিনি যোমরাজ এবং যমুনা দেবীর পিতাও। সূর্যলোকে অবস্থানরত এই সূর্যদেবকেও কিন্তু একবার শনিদেব তাঁর বক্রদৃষ্টি দিয়েছিলেন। তবে হিন্দু মতে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির দেবতা হিসাবে সূর্যদেবকে মান্য করা হয়। আবার সমস্ত শক্তির উৎস বলেও মনে করা হয় সূর্যদেবকে।
হিন্দুধর্মের বিভিন্ন দেবদেবীর মধ্যে প্রধান হলেন সৌর দেবতা। তিনি কশ্যপ ও অদিতির পুত্র। আবার কোনো কোনো পুরাণ মতে তিনি ইন্দ্রের পুত্র। কোন দেবতাকে খালি চোখে সামনা সামনি দেখা না গেলেও কিন্তু সূর্যদেবকে আমরা আকাশের দিকে তাকালেই দেখাতে পাই। সূর্যদেব কিন্তু প্রবল ক্ষমতা এবং অসীম শক্তির অধিকারী। বলা হয় সূর্যদেবের কেশ ও বাহুর সোনার। তিনি সপ্তাশ্ব বিশিষ্ট রথে চড়ে আকাশপথে পরিভ্রমণ করেন। অর্থাৎ তাঁর আকাশ পথে ভ্রমণের রথে সাতটি ঘোড়া থাকে। তাঁর এই রথের ঘোড়াগুলি সাতটি পৃথক পৃথক রঙের হয়, যা রঙধনুর সাত রঙের প্রতীক। রবিবার অর্থাৎ ছুটির দিনটা কিন্তু থাকে সূর্য দেবের জন্য।
সূর্য নাম মন্ত্র হল- ”ওং ঘৃণি সূর্যায় নমঃ”।
সূর্য বৈদিক মন্ত্র- ”ওং আকর্ষেণ রজসা বর্তমানো নিবেশায়নামর্তন মার্তণ্ড
হিরণ্যায়েন সবিতা রথে দেব যাত্রী ভুবানানি পশ্যন”।
সূর্যদেবের নমস্কারের মন্ত্র হল সূর্য প্রণাম মন্ত্র হল – ”ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম । ধান্তারীং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্ ।।”
সূর্যদেবের ধ্যান মন্ত্র হল- ”ওঁ রক্তাম্বুজাসনমশেষগুণৈসিন্ধুং, ভানুং সমস্তজগতামধিপং ভজামি।
পদ্মদ্বয়াভয়বরান্ দধতং করাব্জৈ- র্মাণিক্যমৌলিমরুণাঙ্গরুচিং ত্রিনেত্রম্।।”
শুক্ল পক্ষের রবিবারে সূর্যদেবের মন্ত্র জপ শুরু করতে হয়। মন্ত্র জপ করার সময় লাল আসনে বসা উচিত। পূজোর সময় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে হয়। তবে প্রথমে গুরু, গণেশ, বিষ্ণু, শিবের উপাসনা করার পরেই শুরু করুন সূর্য মন্ত্র জপ করতে হয়। এই ভাবে সূর্দেবের উপাসনা করলে দেবতা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন। স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। এক মনে নিষ্ঠা ভরে সূর্যদেবকে ডাকলে, দেবতা তাঁর ভক্তের ডাক শোনেন। এবং শারীরিক ও মানসিক কষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া যায়।